বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মানিকগঞ্জে কলেজছাত্র মনির হোসেন হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এ মামলায় তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহিদুল আলম ঝিনুক এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাদশা মিয়া, মো. লাল মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও আজগর আলী। এ ছাড়া রায়ে সাভারের কথিত যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন জামাল ওরফে কামালকে যাবতজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ জানিয়েছেন নিহত মনির হোসেনের মা মামলার বাদী মালেকা বেগম ও বাবা পরোশ আলী।
রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন মানিকগঞ্জ জজকোর্টের পিপি মো. অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শিপ্রা সাহা।
পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম জানিয়েছেন, এ মামলা মোট আট আসামির মধ্যে পাঁচজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। রায়ে চারজনের ফাঁসি ও একজনের যাবতজীবন কারাদণ্ড ও তিনজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শিপ্রা সাহা এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
এদিকে নিহতের মা মালেকা বেগম রায়ের পর আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। নিহতের বাবা পরোশ আলী জানান, এ রায়ে আমি খুশি। আজ ছেলের হত্যার প্রকৃত বিচার পেয়েছি। আর যেন বাবা-মায়ের বুক কেউ খালি করতে না পারেন। তাই অতিদ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চাই।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মনির হোসেন একই এলাকার বাদশা মিয়া সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে সাভারে নিয়ে যান।
এর পর বাদশার সঙ্গে সেখানে যোগ হয় মো. আক্তার হোসেন জামাল ওরফে কামাল, মো. আজগর চৌধুরী, মো. শুকুর আলী, মো. লাল মিয়া, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মাসুদ ও মো. আলম।
পরে সাভারে নিয়ে মনিরের হাত-পা, চোখমুখ ও মাজা দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি নৌকায় ওঠায়। এর পর মোবাইলে মুনিরের মায়ের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মুক্তিপণের টাকা দিতেও রাজি হন মনিরের পরিবার। কিন্তু তার আগেই হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়কের শহীদ রফিক সেতুর কাছে নিয়ে নদীতে নিক্ষেপ করে মুনিরকে হত্যা করা হয়।
নিহত মনির মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বিদেশ প্রবাসী পরোশ আলীর একমাত্র ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।