পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরখানে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হওয়া ৮ জনের মধ্যে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ওই শিশুর নাম সাগর (১০)। শনিবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই পরিবারের মোট ৬ জনের মৃত্যু হলো। আগুনে সাগরের শরীরের ৬৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর ভোর ৪টার দিকে উত্তরখানের ব্যাপারীপাড়ার ১১০/এ-১ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা একটি ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটের ভেতরে চুলার গ্যাস বেড়িয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৮ জনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেদিন সকালেই আজিজুল ইসলাম নামে এক যুবক এবং সন্ধ্যায় মারা যান তার স্ত্রী মুসলিমা বেগম। আজিজুলের ফুফু সুফিয়া বেগম মারা যান পরদিন। এরপর ১৬ অক্টোবর রাতে সুফিয়ার মেয়ে পূর্ণিমা এবং পরদিন সকালে আজিজুলের বোন আঞ্জু আরার স্বামী ডাবলু মোল্লা মারা যান। সর্বশেষ শনিবার রাতে পূর্ণিমার ছেলে সাগরেরও মৃত্যু হল। ওই ঘটনায় দগ্ধ আজিজুলের বোন আঞ্জু আরা (২৫) এবং তার ছেলে আব্দুল্লাহ সৌরভ (৫) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছেন।
স্বজনরা জানিয়েছে, নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তার তিনটি কক্ষে পরিবারের সদস্যরা ভাড়া থাকতেন। তাদের সবার গ্রামের বাড়ি পাবনা। মুসলিমা ও পূর্ণিমা উত্তরখানের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আজিজুল একটি মাছের খামারে কাজ করতেন। ফায়ার সার্ভিস ও তিতাস সূত্র জানায়, রাতে অসতর্কতাবশতঃ গ্যাসের চুলার সুইচ বন্ধ না করায় সারারাত ধরে গ্যাস বেড়িয়ে সবগুলো কক্ষে জমে থাকে। ভোরে রান্নাঘরের চুলা জ্বালানোর জন্য ম্যাচ দিয়ে আগুন জ্বালাতে গেলে পুরো ফ্লাটের তিনটি কক্ষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।