মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সীমান্তে মোতায়েন করা অস্ত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ কমান্ডকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহনী। দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গত মাসে পিয়ংইয়ংয়ে জাতিসংঘ কমান্ডকে সঙ্গে নিয়ে একটি ত্রি-পাক্ষিক পরামর্শ করার জন্য রাজি হয় দুই কোরিয়া। সীমান্ত অস্ত্রমুক্ত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন করা মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ও ডিমিলিটারাইজড জোনে তত্ত¡াবধান নিয়ে আলোচনা করেছেন। নতুন প্রস্তাবে সামরিক মহড়া বন্ধ করা, সীমান্তের কাছে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা এবং ডিমিলিটারাইজড জোন থেকে ক্রমান্বয়ে স্থলমাইন ও প্রহরী প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী পানমুনজুম গ্রামে কর্নেল পর্যায়ের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে, এই বছরের মধ্যে দুই কোরিয়া সামরিক সীমানার এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ১১টি তল্লাশি চৌকি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে দুই কোরিয়াই এ মাসে ছোট ছোট এলাকা থেকে স্থল মাইন অপসারণ শুরু করেছে। এছাড়া ১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধে নিখোঁজ সেনাদের দেহাবশেষ উত্তোলন করে নিয়ে আসার জন্য আগামী এপ্রিল মাসে সড়ক নির্মাণের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া দুই পক্ষই জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া থেকে সব আগ্নেয়াস্ত্র প্রত্যাহার করবে। সেখানে দুই পক্ষের ৩৫ জন করে সেনা সদস্য থাকবে আর তারা নিজেদের নজরদারি যন্ত্রপাতির তথ্য ভাগাভাগি করবে। দুই দেশের নাগরিকরাই সেখানে মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এক মাসের মধ্যে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর এটা হলে সীমান্ত এলাকাটি ‘শান্তি ও পুনর্মিলনের স্থানে’ রূপান্তরিত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সামরিক সূত্র বলেছে, ‘বেশিরভাগ কার্যক্রমই দুই কোরিয়া মিলে করবে। তবে সেখানে জাতিসংঘ কমান্ডের সহযোগিতা থাকবে। কারণ সেখানে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা আছে আর তার আওতায় মিলিটারি আর্মিস্টিক কমিশনের আওতায় কাজ করে।’ সোমাবার দুই কোরিয়া পুনরায় রেল ও সড়ক সংযোগ চালুর করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এত দ্রুত সম্পর্কোন্নয়ন করার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। কারণ তাদের আশঙ্কা এতে উত্তর কোরিয়ার পরামাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া ব্যহত হতে পারে। ১৯৫০ সালে শুরু হওয়া কোরীয় যুদ্ধ কোনও শান্তি চুক্তির মধ্যে মাধ্যমে শেষ হয়নি। একটি অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে বন্ধ হয়ে আছে। তাই বলতে গেলে দুই দেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে লিপ্ত আছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।