Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবন ১৪৩১, ২০ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা উত্তর কোরিয়ায়

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২৩, ২:৫৪ পিএম

উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। দেশটিতে অনাহারে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে শনিবার সিএনএন জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় দেশটিতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে।

কয়েক জন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ১৯৯০ এর দশকের দুর্ভিক্ষের পর থেকে দেশটি সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে পৌঁছেছে। ‘অর্ডুয়াস মার্চ’ নামে পরিচিত ওই দুর্ভিক্ষের সময় কয়েক লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।

পিটারসন ইনস্টিটিউটের গবেষণা বিশ্লেষক লুকাস রেঙ্গিফো-কেলারের মতে, বাণিজ্য তথ্য, স্যাটেলাইট চিত্র এবং জাতিসংঘ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের মূল্যায়ন ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সরবরাহ এখন ‘ন্যূনতম মানব চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের নিচে নেমে গেছে। এমনকি যদি খাদ্য সমানভাবে বিতরণও করা হয় তারপরও দেশটিতে ক্ষুধাজনিত মৃত্যু হবে।’

অবশ্য উত্তর কোরিয়ায় খাদ্যে সমবন্টন অকল্পনীয়। কারণ দেশটিতে অভিজাত এবং সামরিক ব্যক্তিরা খাদ্যদ্রব্য বন্টনে অগ্রাধিকার পান।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা সম্প্রতি জানিয়েছেন, তাদের বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার কিছু অঞ্চলে অনাহারে মৃত্যু ঘটছে। যদিও দেশটির বিচ্ছিন্নতার কারণে এই দাবিগুলির সত্যতা প্রমাণ কঠিন হয়ে উঠেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, কোভিড মহামারির আগেও উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই অপুষ্টিতে ভুগেছিল। মহামারি শুরুর তিন বছরে সীমান্ত বন্ধ এবং বিচ্ছিন্নতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।

পরিস্থিতি যে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে তার একটি চিহ্ন পাওয়া গেছে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকে। ওই বৈঠকে উন দেশের কৃষি খাতের ‘মৌলিক রূপান্তরের’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা এবং কৃষিতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা প্রয়োজন।

দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা জানিয়েছে, তাদের ধারণা বন্যা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উত্তর কোরিয়ার ফসল উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কম ছিল, ।

রেঙ্গিফো-কেলার আশঙ্কা করে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া সরকারের ‘অর্থনৈতিক নীতিতে বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গি’ ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগী জনসংখ্যার উপর বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলতে পারে।

তিনি বলেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপুষ্টির শিকার জনসংখ্যা, উন্নয়ন অবরুদ্ধের উচ্চ হার এবং সব ধরনের লক্ষণ একটি অবনতিশীল পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করছে। তাই দেশটিকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিতে খুব বেশি কিছু লাগবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উত্তর কোরিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ