পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে শত মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন। একই সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সম্ভাব্য মেট্রোরেল নির্মাণে তার দেশের অংশগ্রহণের আশা রেখেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দুই দিনের শোকেস কোরিয়া-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন লি জ্যাং-কিউন। এসময় এসব বিষয় উঠে আসে।
বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ বড় ভোক্তা বাজার আছে। এখানে বিনিয়োগে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ দুই দেশই লাভবান হবে।
স¤প্রতি চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাই কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই প্রাক্-সম্ভাব্যতা যাচাই কাজে ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৭০ জন বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহ আছে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার।
দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের গণপরিবহন খাতে পরিবর্তন আনার জন্য সবচেয়ে ভালো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জানিয়ে লি জ্যাং-কিউন বলেন, চট্টগ্রামের গণপরিবহন খাতে উন্নয়নের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আগ্রহের কথা আমরা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছি। দক্ষিণ কোরিয়া এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ইতিমধ্যে অংশগ্রহণ করেছে এবং আমাদের ব্যাপক আগ্রহ আছে এই প্রকল্পের মূল কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং কাজ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশেরও আগ্রহ আছে। আপনারা কিছুদিনের মধ্যে দেখতে পাবেন দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের এই মেট্রোরেল প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে কি না।
বাংলাদেশে বড় ভোক্তা বাজার আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সংগত কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করে লাভবান হতে চাচ্ছে এবং বিনিয়োগ করছে। এই দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ ক্রমাগত হারে বাড়ছে; বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এর অবস্থান ষষ্ঠ। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ দিনের উন্নয়নমূলক অংশীদার। এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে বাংলাদেশে নতুন করে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশে আমাদের বিভিন্ন কোম্পানির বিনিয়োগ এরই মধ্যে ১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বিনিয়োগ ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা মনে করি, এই দেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ দুই দেশের জন্যই লাভজনক।
উল্লেখ্য, বর্তমানে করিয়ায় বাংলাদেশ কোরিয়ার থেকে বছরে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমমূল্যেরে পণ্য ও সামগ্রী আমদানি করে। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারের মত পণ্য রপ্তানি হয় কোরিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মাসের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শোকেস কোরিয়া-২০২৩-এ দক্ষিণ কেরিয়ার ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এর মধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে ব্যবসা স¤প্রসারণ করতে চায় এমন আটটি প্রতিষ্ঠান থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান কোরিয়ায় উৎপাদিত সামগ্রী উস্থাপন করা হবে।
মেলায় কোরিয়ান সংস্কৃতি ও খাবার তুলে ধরা হবে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে থাকবে কোরিয়ায় উৎপাদিত বিশেষ ধরনের কার। এছাড়াও থাকবে কোরিয়ার মেশিনারিজ, টেক্সটাইল সামগ্রী, অটোমাবাইলস, ক্যামিকেল, কসমেটিকস, বিশ্বখ্যাত ইলেক্টনিক্স উৎপাদনকারী কোম্পানি এসজির বিভিন্ন পণ্য, স্যামস্যাংগসহ কোরিয়া উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রী। বাংলাদেশে অ্যাজেন্ট নেই এমন বেশ কিছু কোরিয়ান কোম্পানি মেলায় অংশগ্রহণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কোরিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উপদেষ্টা সাহাব উদ্দিন খান ও বাংলাদেশে কোরিয়া কমিউনিটির চেয়ারম্যানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।