Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন ঠেকাতে একাট্টা ফাইভ আইজ জোট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চীনা প্রভাব ঠেকাতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে পাঁচটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে গঠিত বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক ফাইভ আইজ। চীন ও চীনের সমমনা দেশগুলোর বৈদেশিক কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করতে চলতি বছরের শুরু থেকেই ওই নেটওয়ার্কটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সাতজন কর্মকর্তা। গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছানো ওই দেশগুলো হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া আন্তর্জাতিক মহলে চীনা প্রভাব ও বিনিয়োগ ঠেকাতে জার্মানি ও জাপানের মতো দেশগুলোকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক হস্তক্ষেপের মতো সুনির্দিষ্ট ইস্যুতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হয়েছে ফাইভ আইজ গ্রæপটি। যদিও চীনকে উদ্দেশ্য করে এ গোয়েন্দা জোট করা হয়েছে, তবে রাশিয়ার দিকেও দৃষ্টি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চীনের শক্তিশালী আন্তর্জাতিক অবস্থান কীভাবে মোকাবেলা করা যায়, এ নিয়ে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে, সমমনা বন্ধুদের সঙ্গে সংলাপে গতি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, অ্যাডহক ভিত্তিতে আলোচনা পর্ব শুরু হলেও বর্তমানে আরো সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করছে। জার্মানি, জাপানসহ সব দেশ এ বিষয়ে মন্তব্যে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। চীন বৈদেশিক সরকারগুলোতে প্রভাব রাখে এবং দেশটির বিনিয়োগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ওয়াশিংটন, ক্যানবেরাসহ অন্যান্য শক্তি বেইজিংকে প্রশ্নের মুখে তুলেছে। ফাইভ আইজ নেটওয়ার্কের সমন্বয় প্রয়াসে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীনের সঙ্গে একা লড়ার ঘোষণা দিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেইজিংয়ের কর্মতত্পরতা ঠেকাতে অনানুষ্ঠানিক জোট গঠন করে নেপথ্যে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। এ রকম পদক্ষেপের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলোয় বাণিজ্য সহযোগী গড়ে তোলার আশায় বালি পড়ল চীনের। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি সামনে এনে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ওয়াশিংটন থেকে সরিয়ে নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছিল বেইজিং। রয়টার্সের কাছে ওই কর্মকর্তারা বলেছেন, ওই আলোচনাগুলো ‘অত্যন্ত গোপনে’ এবং প্রধানত দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংঘটিত হয়েছিল। দুটি সূত্র জানিয়েছে, ফ্রান্স কিছুটা যুক্ত হলেও কিছুটা কম নিয়মিত ও অনেকটা দায়সারাভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল। কোনো সূত্রই এটি জানায়নি, ফাইভ আইজ নেটওয়ার্কের বাইরে জার্মানি, জাপান বা অন্যান্য রাষ্ট্র এ গোয়েন্দা জোটে আমন্ত্রিত হয়েছে কিনা।সোভিয়েত প্রভাব ঠেকাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গোয়েন্দা জোটটি। চীনা প্রভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে বিদেশী তদবির ও রাজনৈতিক অনুদান নিয়ন্ত্রণে গত ডিসেম্বরে কঠোর আইন করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও ফারমা (এফআইআরআরএমএ) নামে একটি নতুন আইন প্রবর্তন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে কিছু বিশেষ ধরনের বৈদেশিক বিনিয়োগ ঠেকাতে বিশেষ ক্ষমতা পাবে ওয়াশিংটন। রয়টার্স।

 



 

Show all comments
  • বাবুল ১৪ অক্টোবর, ২০১৮, ২:৫৩ এএম says : 0
    দেখা যাক কে কাকে ঠেকায়
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ