পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, আমি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলতে চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বাস্তু সঙ্কট মোকাবেলায় তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। ‘আমরা দেখেছি অনেক উদ্বাস্তুকে এজিয়ান সাগর এবং ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি উদ্বাস্তু বহনকারী অনেক নৌকায় ছিদ্র করে তাদেরকে সাগরে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে এসবের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।’ এরদোগান বলেন, গত কয়েক মাস ধরে তুর্কি অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ভেতর বাহির থেকে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার জন্য তুরস্কের দেয়া প্রস্তাবটিকে কিছু মিত্র দেশ প্রতিনিয়ত বিতর্কিত করে চলেছে।’ হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে তিনি এসব কথা বলেন। বুদাপেস্টে তুর্কি-হাঙ্গেরিয়ান ব্যবসায়িক ফোরামে দেয়া এক বক্তব্যে এরদোগান আরো বলেন- ‘সিরিয়ায় একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার করার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম যাতে করে সিরিয়ার মিলিয়নেরও বেশী নাগরিকের জীবন রক্ষা পায়। তবে আমাদের কিছু মিত্র ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের দেয়া প্রস্তাবটিকে এড়িয়ে চলছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমত সিরিয়ার জনগণ এবং এর পরে তুরস্কের মত পার্শ্ববর্তী দেশসমূহকে সিরিয়ায় আসন্ন যে কোনো ধরনের বিপর্যয়ের জন্য ব্যাপক মূল্য দিতে হতে পারে।’ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে তুরস্ক উদ্বাস্তু সঙ্কট মোকাবেলার জন্য দেশটিতে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব আনলে তুরস্কের ন্যাটোভুক্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র তা গ্রহণ করেনি। এরদোগান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমঝোতার অংশ হিসেবে তুরস্ক সিরিয়ার ইদলিব শহরে যেকোনো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে এবং একই সাথে দেশটি ইদলিব শহরের বিদ্রোহীদের নিরস্ত্রীকরণের জন্য কূটনৈতিকভাবে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসের ৮ তারিখে এরদোগান তুরস্ককে ইউরোপের সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আরো আন্তরিক হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান। এরদোগান বুদাপেস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরাবানের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলনে, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের তুরস্ককে গ্রহণ করবে কি করবে না তা পরিষ্কার করা দরকার।’ তিনি বলেন- ‘তুরস্ককে ১৯৬৩ সাল থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। অন্য কোনো ইউরোপীয় দেশের সাথে এমন আচরণ করা হয়নি।’ প্রসঙ্গত, ১৯৬৩ সালে তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক জোটের সাথে তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আঙ্কারাতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। হুররিয়েত ডেইলি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।