রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৫০৮জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলায় তাদের আসামী করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেছেন। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফরহাদ হোসেন ছোটন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৪৯জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৪৯জন এজাহার নামীয় আসামীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামীরা হচ্ছে কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ হাসমত উল্লাহ নবী, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল কবীর পল, দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, জিনজিরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ মামুন, জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী ওমর শাহনেওয়াজ,দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু,জিনজিরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ আজাদ হোসেন।অপরদিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া ফাঁড়ির এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ২০৯জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০জনকে আসামী করে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিএনপির উল্লেখ্যযোগ্য আসামীরা হচ্ছে মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ মজিবর, মোঃ মালেক ও মোঃ নিরব। তবে এই আসামীদের পদ-পদবী জানা যায়নি।প্রথম মামলা সুত্রে জানা যায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় জিনজিরার মনুবেপারীর ঢালে শহীদ মিনারের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিচার প্রত্যারের দাবীতে মিছিল করে এবং রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ভাংচুর করে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মামলার বাদী ফরহাদ হোসেন ছোটন তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশ এ্যাকশনে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়। অপর মামলা সুত্রে জানা যায় মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় হযরতপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় লিচু মিয়ার স’মিলের সামনে রাস্তায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের বিচর প্রত্যাহার করার দাবীতে মিছিল বের করে। এসময় তারা রাস্তায় বিভিন্ন গাড়ি আটকিয়ে ভাংচুর করতে থাকে। খবর পেয়ে মামলার বাদী কলাতিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ আনোয়ার হোসেন তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে এবং রাস্তায় ককটেলের বিস্ফেড়ন ঘটায়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য ২রাউন্ড শর্টগানের ফাকা গুলি করলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এব্যাপারে ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল কবীর পল জানান,মনুবেপারীর ঢালে জিনজিরা ইউনিয়ন আওয়ামীলগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জগন্নাথপুরের ঘটনাটি নিয়ে হযরতপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, মামলাটি সম্পুর্ন মিথ্যা। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, পৃথক দুইটি জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড় হয়ে মিছিল ও গাড়ি ভাংচুর করার সময় সেখানে পুলিশ গেলে তারা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা দেয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুইটি মামলা রজ্জু করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২অক্টোবর দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায়ও এজাহার নামীয় ৫৯ এবং অজ্ঞাত নামা ২৫০জনসহ ৩০৯ জন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।