বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিচার চাইতে এসে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মারপিট ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউপির বামুনিয়া ফকিরপাড়ার টুকু মিয়ার কন্যা তানজিমা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জানাগেছে, বিগত ৮ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের পুত্র সুলতান মাহমুদের সাথে ৩৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রিতে তানজিমার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঔরসে এক কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে । শিশুটির জন্মের কিছুদিন পর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়ায় স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তানজিমাকে নানাভাবে তিরস্কার করতে থাকে। চিকিৎসার একপর্যায়ে ওই শিশুর থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। সন্তানের অসুস্থতার কারণে তানজিমা বেশীরভাগ সময় মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতেই থাকত। এভাবেই চলতে থাকে দীর্ঘ ৮টি বছর। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির সদস্যদের নানা অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তানজিমা স্বামীর বাড়িতে গেলে পুনরায় তার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সে ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে গেলে বিচারপ্রার্থী হয়ে আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের কাছে যায়। গত রোববার উভয়পক্ষকে নিয়ে বিচারের দিন ধার্য ছিল। শালিশে ৩৫ হাজার টাকা দেনমোহরের বিপরীতে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত ঘোষনা করে চেয়ারম্যান। এতে তানজিমা রাজি না থাকলেও চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নানা কৌশলে তাকে রাজি করায়। এরপর তানজিনা শালিস মেনে অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য খরচের কথা বললে চেয়ারম্যান রাগান্বিত হয়ে তার আসন থেকে উঠে এসে তানজিমা বেগমকে মারপিট করে। ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিচারপ্রার্থী মহিলা সম্পর্কে আমার ভাগ্নি হয়, তাই তাকে শাসন করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।