নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মামুলি এক চোঁটকে হেলা করতে গিয়ে বড় ধরণের ঝুকির মধ্যে পড়েতে যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। পড়তে যাচ্ছিলেন কি, কতক তো পড়েছেনই! নিজেই যে জানালেন হাত আর আগের অবস্থায় ফিরে আসবে না! তবে আশার বিষয়, ৬০-৭০ ভাগ সেরে উঠলেই বোলিং এবং ব্যাটিং করতে পারবেন বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার।
হাতের চোট সারানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ায় উড়াল দেওয়ার আগে সাকিব জানান, অনিবার্য অস্ত্রোপচার সফল হলেও শতভাগ ঠিক হবে না বাঁহাতের কনিষ্ঠা। তার উপর রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা। সে যাই হোক না কেন, এত সহজে সাকিব হার মানবেন না বলেই বিশ্বাস বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের। দীর্ঘদিন ধরে সাকিবকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকেই তার বিশ্বাস, মাশরাফি বিন মুর্তজার মত শক্ত মনোবল নিয়েই ফিরবেন সাকিব। আর তাই আঙুল পুরো সেরে না উঠলেও ফর্ম যাবে না পড়তির দিকে।
গতকাল সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সাকিবকে ‘একজন যোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে আকরাম বলেন, ‘সাকিব ব্যথা নিয়েই যেভাবে ভালো খেলেছে, সে একজন যোদ্ধা।’ তার মতে, মাশরাফির মত সাকিবও বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারবেন চোটকে জয় করে, ‘বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় চোটে পড়ে খেলাই ছেড়ে দিয়েছে, মাশরাফি সেটা করেনি। সাকিবও লড়াকু। কষ্ট হলেও পারফরম্যান্স সে ধরে রাখবে।’ আকরামের মতে, সাকিবের মানসিক দৃঢ়তাই তাকে আগের মত ফিরে আসতে সহায়তা করবে, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিকভাবে বিষয়টা আপনি কীভাবে নিচ্ছেন। ওদের অনেক আগ থেকেই চিনি। তারা মানসিকভাবে শক্ত। আশা করি, আগের জায়গায় তারা ফিরে আসবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘সাকিব ঝুঁকি নিয়ে খেলেছিল এশিয়া কাপে। আলাপ-আলোচনা করেই খেলেছিল। পরে ওর হাত দেখে আমরা ভয়ই পেয়েছিলাম! ইতিবাচক দিক হচ্ছে গুরুতর কিছু হয়নি।’
সাকিবের চোট এমন ভয়ানক পর্যায়ে আসার দায় ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহনের। তার কাজে জবাবদিহিতা চাইবে বিসিবি। এমনটি জানিয়ে আকরাম বলেন, ‘ফিজিওর সঙ্গে আমরা কথা বলব। হাতের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার পরও সাকিব গিয়েছিল, ব্যাপারটা ফিজিও আগ থেকেই পরিষ্কার করে দিতে পারত। চোট খেলারই অংশ। খেলোয়াড়দের জন্য সেরাটা করার চেষ্টা করব। অস্ত্রোপচারের পর দেখি কী হয়।’
নয় মাস আগে পাওয়া চোট এত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যে আক্রন্ত কনিষ্ঠা আঙুল আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না আর। সেই বাস্তবতা মেনে নিয়েই এবার হবে সাকিব আল হাসানের অস্ত্রোপচার। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বিবিসি বাংলাকে তিনি জানান-‘সাকিব ঠিকই বলেছে, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ডাক্তাররা তাকে ধারণা দিয়েছেন যে অপারেশন করলেও এই আঙুলের জয়েন্টটি শতভাগ ঠিক না-ও হতে পারে। কিন্তু তাকে আশ্বস্থ করা হয়েছে যে ৬০%-৭০% সেরে উঠলেই তার ব্যাটিং-বোলিং করতে কোন সমস্যা হবে না।’
তবে অস্ত্রোপচার ছাড়া সাকিবের সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো সুযোগই নেই। এমনকি চোট নিয়ে সাকিব যখন খেলছিলেন, তখনও সেটি অজানা ছিল না। তারপরও কেন সাকিব এশিয়া কাপে খেলতে গেলেন, এর জবাবে দেবাশীষ বলেন, ‘দুজন ডাক্তারই বলেছেন যে শেষ পর্যন্ত হয়তো অপারেশন লাগতে পারে, কিন্তু যতদিন সম্ভব অপারেশন ছাড়া অন্যভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে সাকিব আল-হাসান খেলা চালিয়ে যেতে পারেন। এর পরও যদি খেলতে কষ্ট হয় তাহলে অপারেশনের কথা ভাবা হবে।’
সাকিব চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়া গেলেও এখনই অস্ত্রোপচার হচ্ছে না। তাহলে কেন যাওয়া? সাকিব বলেন, ‘মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইনফেকশনটা পুরোপুরি সেরেছে কিনা, আর কিছু করার আছে কিনা তা সাকিব বুঝে আসবে, আর এর পর অবস্থা বুঝে অপারেশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। কারণ ইনফেকশন না সারলে অপারেশন করা সম্ভব না।’
এত বিপজ্জনক চোট নিয়েও এশিয়া কাপে সাকিব কেন খেলেছিলেন, ঘুরেফিরেই আসছে এমন প্রশ্ন। ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন সাকিবকে খেলতে পারার সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন বলেও শোনা গেছে। গুঞ্জন রয়েছে, বোর্ডের চাপেও খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। দেবাশীষ জানালেন, মূল সিদ্ধান্তটা ছিল সাকিবেরই, ‘সাকিব আমাদের সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ প্লেয়ারদের একজন। তারা নিজেরাই এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে ঝুঁকি নিয়ে খেলা ঠিক হবে কিনা , চিকিৎসকরাও তাদের গাইডলাইন দেন। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধাস্তটা খেলোয়াড়কেই নিতে হয় যে তিনি খেলবেন কি না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।