Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াশিংটন বিক্ষোভে উত্তাল

কাভানাহ’র নিয়োগ বাতিল দাবি জোরদার, তিন শতাধিক গ্রেফতার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত বিচারপতি ব্রেট কাভানাহ’র নিয়োগ বাতিল করার দাবিতে বিক্ষোভ জোরালো হয়ে উঠেছে। কাভানাহ’র বিরুদ্ধে এফবিআই-এর তদন্তে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রিপাবলিকানরা দাবি করার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে লাখো মানুষ। এদিন, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও আটজন বিচারপতি নিয়ে গঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট মনোনীত বিচারপতিদের নিয়োগ দেয় সিনেট। একবার নিয়োগ দেওয়ার পর পদত্যাগ,অবসর বা অভিশংসন ছাড়া ওই বিচারপতিরা আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করতে পারেন। এ বছর বিচারপতি অ্যান্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। গত জুলাইয়ে অ্যান্থনি কেনেডির জায়গায় ব্রেট কাভানাহকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে মনোনীত করেন ট্রাম্প। চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পেতে সিনেটের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সিনেটের অনুমোদন পাওয়ার আগে কাভানাহর বিরুদ্ধে তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে এফবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকে এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাঁচদিনের মাথায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এফবিআই। প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানরা এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ওই প্রতিবেদনে কাভানাহকে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার খাভানাহকে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়ার প্রশ্নে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে কাভানাহ’র নিয়োগ বাতিল করার দাবিতে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমে আসেন লাখো মানুষ। এদের বেশিরভাগই নারী বিক্ষোভকারী। ক্যাপিটল হিলের সামনে জড়ো হন তারা। সুপ্রিম কোর্টের সামনেও একটি সমাবেশ করে বিক্ষোভকারীরা। শ্লোগান দেওয়া হয়: ‘কাভানাহকে যেতে হবে!’ বিক্ষোভকারীরা সিনেটের একটি ভবনে অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সর্বমোট ৩০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে কমেডিয়ান অ্যামি শুমার ও মডেল রাটাজকৌস্কিও রয়েছেন। কাভানাহর বিরুদ্ধে যে তিনজন নারী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন তাদের একজন হলেন,ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্লেজি ফোর্ড। সম্প্রতি সিনেট কমিটিতে অধ্যাপক ফোর্ড অভিযোগ করেন,বিচারপতি কাভানাহ কিশোর বয়সে তার উপর যৌন নিপীড়ন চালিয়েছিলেন। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাভানাহ। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে অভিযোগ নিয়ে তিনি ও কাভানাহ উভয়ই সাক্ষ্য দেন। পরে এফবিআইকে এ ঘটনা ‘খতিয়ে দেখা’র নির্দেশ দিতে বাধ্য হন ট্রাম্প। শুরু থেকেই এফবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন অভিযোগকারীর আইনজীবীরা। তাছাড়া প্রতিবেদনটি নিয়ে ব্যাপক গোপনীয়তা বজায় রাখায় এটি নিয়ে সংশয়ও তৈরি হয়। প্রথমে প্রতিবেদনটি হোয়াইট হাউসে পাঠায় এফবিআই। সেখান থেকে তা বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাঠানো হয়। প্রতিবেদনটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। সিনেট কমিটিতে একটি সুরক্ষিত কক্ষে এ নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির প্রধান ও রিপাবলিকান সিনেটরচাক গ্রেসলি এক বিবৃতিতে বলেন,‘কাভানাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’ তিনি আরও বলেন,‘আমরা আগে জানতাম না এমন কিছু ওই প্রতিবেদনে নেই।’ ব্রেট কাভানাহ’র নিয়োগ চূড়ান্ত করতে সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন চাক গ্রেসলি। বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়াশিংটন

২০ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ