বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে হলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে হলটির ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে গত দুই দিনধরে হলের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ছাত্রলীগের দুই হলের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পর হল অফিসের সকল কক্ষে তালা দেয় আল-বেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ‘উত্যক্ত করা’কে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মধ্য রাতে আল-বেরুনী হল ও মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষ শুরু হলে তাৎক্ষণিক আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেনকে জানানো হয়। তবে তিনি সংঘর্ষ শেষ হওয়ার পরে ঘটনাস্থলে আসেন। এমনকি আহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও কোন খোঁজ-খবর নেননি। ওইদিন দিবাগত রাতে সংঘর্ষের ঘটনা শেষে প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ঘটনা স্থলে আসলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রাধ্যক্ষের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে ওই রাতেই উত্তেজিত নেতাকর্মীরা হলের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও আল-বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র আবু সাদাত সায়েম বলেন, ‘আমরা হল প্রভোস্টের অপসারণের দাবি করছি। তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখেন না। হল সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা থাকে না।’
আল-বেরুনী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন বলেন, ‘তারা আমার কক্ষে তালা দিয়েছিল। প্রথম দিকে অফিসের অন্যান্য কক্ষে তালা দেয়নি। এখন আমার কক্ষে তালা দিলে আমি কক্ষে ঢুকতে পারবো না। কিন্তু অন্যান্য কক্ষে তালা দিলে তো অফিসিয়াল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এতে তাদেরই সমস্যা। তবে তারা আজ ২-৩ ঘন্টার জন্য তালা খুলে দেয়। আমি বিভাগে বসে ফাইলে স্বাক্ষর করেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেউ জানায়নি। হলের দায়িত্বরত গার্ড আমাকে সংঘর্ষের ঘটনা জানায়। আমি রেডি হতে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু সময় নিয়েছি। আসলে ওই সময় তো আমার পক্ষে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব ছিল না। অন্ধকারে কেউ আমাকে চিনতো যে আমি কে। যদি আমার উপরে আক্রমন হতো।’এ বিষয়ে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, আমি ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারবো না। আমি যদি এখন তাকে অপসারণ করি। তাহলে আমার বিরোধী একটি গ্রুপ আছে, তারা আন্দোলন শুরু করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।