বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির ঘোষিত সাতদফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্র ঘোষিত বিভাগে কর্মসূচির অংশ হিসাবে গতকাল রাজশাহীতে সমাবেশ ও বিভাগীয় কমিশনারের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। সকালে নগরীর ভূবনমোহন পার্কে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও এমপি বিএনপি চেয়ারপার্শনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র নগর বিএনপি সভাপতি মো: মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বক্তব্য রাখেন শফিকুল হক মিলন, শাহীন শওকত প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এই সরকারের আমলে দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়ন হয়েছে শুধু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলের নেতাকর্মীদের। এই দুর্নীতিপরায়ন সরকারের পতন এবং বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করার জন্য জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে। দেশের মানুষ এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে আর দেখতে চায়না। ইতোমধ্যে আন্দোলন শুরু গেছে। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শান্তিপুর্ণ আন্দোলন দেখেই সরকার ভীত হয়ে পড়েছে। আগামীতে এই আন্দোলন আরো তীব্র করে বেগম জিয়ার মুক্তি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে আসছে সংসদ নির্বাচন করা হবে। সমাবেশ শেষে সিনিয়র নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
খুলনা ব্যুরো : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সংসদ ভেঙে দিয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা এবং গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার বন্ধসহ সাতদফা দাবি জানিয়ে খুলনা মহানগর বিএনপি বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এর আগে একই দাবিতে বেলা ১১টায় দলের পক্ষ থেকে নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় জনসভায় ঘোষিত ৭ দফার মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে। আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। বিএনপির প্রস্তাবনা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকেও এখন গায়েবী মামলার আসামি করেছে। সরকার কেসিসি নির্বাচনের মত খুলনা মডেলের আরেকটি ডাকাতির নির্বাচন করতে চায়। কিন্ত তা আর হতে দেয়া হবে না।
এ সময় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, মোল্লা আবুল কাশেম, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।