ইসলামী ঐক্যজোট

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা শওকত আমীন পীরসাহেব বি-বাড়ীয়া বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির জন্য দলমত নির্বিশেষে দেশ ও স্বাধীনতা প্রেমিকদেরকে নিয়ে বৃহত্তম জাতীয় ঐক্য এখন সময়ের দাবী। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন কমিশন পূণর্গঠন ও নির্বাচনের ১০ দিন পূর্ব থেকে সেনা মোতায়েন, হয়রানী বন্ধ করে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আল্লামা মুসলেহ উদ্দিন (রহ:) মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোট ঢাকা মহানগর আয়োজিত “দেশরক্ষার জন্য সঠিক নির্বাচন ও ইভিএম বর্জন” শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস আতহারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হুসাইন আনসারীর পরিচালনায় এতে আরো বক্তৃতা করেন মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা কাজী জুবায়ের মাসুদ, মুফতি বরকতুল­াহ, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক, অর্থ সম্পাদন মুফতি ওবায়দুল্লাহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা সাইদুল ইসলাম, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা আমানুল্লাহ প্রমূখ।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘ আত
গত বুধবার বিকাল ৪ টায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদর রসূলপুর-কাটানিশার আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘ আত সমন্বয় কমিটির কমিটির শাখা গঠন উপলক্ষে কাউন্সিল অধিবেশন সদর রসূলপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী আশরাফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা আলিয়া মাদরাসার মুহাদ্দেস মুফতি গোলাম মোস্তফা শাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ মাছুম বিল্যাহ মিয়াজী। বক্তব্য রাখেন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল হালিম, আব্দুল ওহাব মাষ্টার, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, কলামিষ্ট গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ মোহাম্মদ সোলাইমান, মোহাম্মদ আয়েত আলী ও হাােফজ জিয়াউল হক সুমন প্রমুখ।
উক্ত সভায় তরিকত ও সুন্নিয়তের কর্মকান্ডকে বেগমান করা লক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা‘ আত সমন্বয় কমিটির ৪ নং ওয়ার্ড সদর রসূলপুর-কাটানিশার কে নিয়ে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ১টি কার্যকরি কমিটি ও ১টি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। কার্যকরি কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী আশরাফ চৌধুরী সাধারন সম্পাদক মো: আবুল হোছাইন মোল্লা ও মো: কামাল হোসেন স্বপনকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জনগণের ভোটের অধিকার হরণের দিন। ঐ দিন মানুষের নাগরিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে যার প্রমাণ ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়া। একাশদ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ জানুয়ারির মত তামাশা করতে দেয়া হবে না।
৫ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পীর সাহেব চরমোনাই আহুত জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত থানা ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য তিনি আজ উক্ত কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, বামুক ঢাকা জেলা সহ-সভাপতি মৌলভী আব্দুর রউফ, সেক্রেটারী এবিএম জাকারিয়া প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, তফসিল ঘোষণার পূর্বেই সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে এবং ইভিএম এর চক্রান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন সিটি নির্বাচনে শতভাগ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই এ আজ্ঞাবহ কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যেটা নুরুল হুদা নিজেই স্বীকার করেছেন। তাই নির্বাচন কমিশনকে পুনঃগঠন করতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সংদস ভেঙ্গে দিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ভোট-ডাকাতি ও কারচুপির মহোৎসবের সম্ভাবনা থাকে।
দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে ৫ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুমা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মুহতারাম আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা সৈয়দ রেজাউল করীম জাতীয় মাহসমাবেশের ডাক দিয়েছেন। বক্তারা সে মহাসমাবেশকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশে রূপান্তর করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসুচি হাতে নেয়া হয়েছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।