বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মোটরযান আইনের আওতায় সাঙ্কেতিক চিহ্ন ও মহাসড়কের কিলোমিটার পোস্ট বা গতিপথ নির্দেশনার সাইনগুলো এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুন দখল করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় ফুটওভার ব্রিজের উভয় পাশের পোস্টার-ব্যানারের ছড়াছড়ি। ওভার ব্রিজের ওপরে হাঁটাপথ বাদে পুরোটাই ঢাকা পড়েছে রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, হারবাল কোম্পানী বা ব্যক্তির চটকদার পোস্টার-ব্যানার ও ফেস্টুনে। এছাড়াও আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানোর প্রতিযোগিতা। মহাসড়কের কুমিল্লায় চারলেন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ইনফরমেশন সাইনগুলো। যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে দূরত্ব বা গতিপথ সম্পর্কে ধারনা নেয়ার জন্যই নির্মাণ করে ইনফরমেশান সাইন। অথচ এইসব ইনফরমেশান সাইন চাপা পড়েছে ব্যানার ফেস্টুনে। এ ব্যাপারে নীরব রয়েছে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি, হাসানপুর, গৌরীপুর, রায়পুর, ইলিয়টগঞ্জ, কুটুম্বরপুর, মাধাইয়া, কোরপাই, চান্দিনা, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, কোটবাড়ি, পদুয়ারবাজার, সুয়াগাজী, চৌদ্দগ্রাম এলাকার পথচারীদের জন্য নির্মিত ফুটওভার ব্রিজসহ বিভিন্ন চিহ্ন সম্বলিত প্রতিটি স্থানে ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়েছে। এসব ব্যানার-পোস্টারের কারণে মহাসড়কের পাশে মোটরযান আইনের আওতায় কিছু সঙ্কেতিক চিহৃগুলো ঢাকা পড়ে গেছে। যার কারণে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহনের চালকরা প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘনার স্বীকার হচ্ছে। বাস চালক শহীদ মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশ ছাড়াও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি স্থানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা সম্বলিত ব্যানার লাগানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় বাদ পড়ছে না মাহসড়কের মাঝপথের ডিভাইডারগুলো। নাজমুল করিম নামক এক পথচারী বলেন, মহাসড়কের ইনফরমেশান সাইনগুলোতে এমনভাবে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন লাগানো হয়েছে যেন এটি একটি প্রচারণা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। পথে গাড়ি না থামিয়ে সাইনবোর্ডে লেখা দেখে গন্তব্যের পথে অগ্রসর হয়। দু’বছর আগে কুমিল্লা অংশের প্রায় একশ’ কিলোমিটার অংশে ১০ টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পরপরই এ ফুটওভার ব্রিজ রাজনৈতিক প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। বিভিন্ন সময়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লার নিবার্হী প্রকৌশলী মোফাজ্জেল হায়দার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, খুব শীঘ্রই অভিযান চালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পোস্টার-ব্যানার ও ফেস্টুনগুলো অপসারণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।