Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গায়েবি মামলার কবলে কেরানীগঞ্জ বিএনপির ৩০৯ নেতাকর্মী

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপির ৩০৯ নেতাকর্মীর নামে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় হামলা, ভাংচুর, মারপিট ও বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৫৯ জনকে এজাহারনামীয় এবং বাকী ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলায় দক্ষিন কেরানীগঞ্জের আগানগর, শুভাঢ্যা, তেঘরিয়া, বাস্তা, কোন্ডা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা ইউনিয়েনের সকল ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা পর্যায়ের বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। মামলার ৩৬ নম্বরে নুরে আলম জিতু সরদার নামে যাকে আসামী করা হয়েছে সে এ মামলার ঘটনার ৩/৪ দিন আগে হজ পালন করে মাত্র দেশে ফিরেছেন। তিনি এ লতিফ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সাপ্তাহিক একুশের কন্ঠ ও ই-কন্ঠ ২৪.কম অনলাইন পত্রিকার স্বত্বাধিকারী , সরদার ডেভেলপমেন্ট , ও সরদার হাউজিং কোম্পানীর স্বত্বাধিকারী। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নন। তাকেও এ মামলায় জড়িয়ে আসামী করায় মামলাটি নিয়ে সাধারন মানুষের মাঝে নানা কৌতুহল জন্ম দিয়েছে। আগানগর এলাকার ডা. শাহজাহানের বাড়ির ভাড়াটিয়ে মো. সুমন মিয়া নামে এক ব্যাক্তি মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরনে জানা যায় বুধবার সকাল ১০টায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সংসদ বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার লক্ষে স্থানীয় বিএনপি-জামাতের ২০০/৩০০ নেতাকর্মী মিছিল করে জিনজিরা পার্টি অফিস থেকে চুনকুটিয়া পার্টি অফিসে যাওয়ার পথে কদমতলী ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের অফিসে হামলা , ভাংচুর করে। এতে পার্টি অফিসের ১ লাখ টাকা ক্ষতি হয়। এতে জনতা তাদেরকে প্রতিহত করতে চাইলে তারা কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। টহল পুলিশ দ্রত ঘটনাস্থলে আসলে বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ সময় মোঃ সেলিম (৪০), মোঃ সুমন রানা (২৮), মোঃ সজল মিয়া (২৮) ও মোঃ আলতাফ হোসেন (৫৫)কে আটক করে। এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন মামলাটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গায়েবি মামলা। আমরা ওই দিন কোন মিছিলই বের করিনি।

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান: টাঙ্গাইলের সখিপুরে গায়েবী নাশকতা পরিকল্পনা মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংপঠনের ১৬ নেতা গতকাল বুধবার হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর বেঞ্চ এ জামিন এর আদেশ প্রদান করেন। হাইকোর্ট কর্তৃক জামিনে মুক্ত হলেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি-সখিপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সাজু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান-সাংগঠনিক সম্পাদক সিকদার মু.ছবুর রেজা,সখিপুর পৌর বিএনপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন মাষ্টার, পৌর বিএনপি সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক কমিশনার হাজী আব্দুল গণি,সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক সাবেক কমিশনার নাসির উদ্দিন, পৌর বিএনপি সাধারন সম্পাদক মীর আবুল হাশেম আজাদ,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো.পাভেল তালুকদার, উপজেলা যুবদল সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন,যাদবপুর ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক মো.আকবর হোসেন,উপজেলা কৃষকদল সাধারন সম্পাদক মো.ফজলুল হক ফজলু,পৌর যুবদল সভাপতি কামরুল সিকদার, সহ-সভাপতি মো.সেন্টু খান,পৌর ছাত্রদল সভাপতি মোর্শেদ আলম সুমন,সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রদল সভাপতি মো.একাব্বর হোসেন। এর মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করার পর যে ৬জন নেতা দীর্ঘদিন জেল হাজতে রয়েছেন তারা হলেন, হাজী আব্দুল গণি,নাসির উদ্দিন,মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল,ফজলুল হক ফজলু,সেন্টু খান ও একাব্বর হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ