বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শহরের লক্ষীপুর দারুল উলুম কামিল অনার্স মাদরাসায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেয়া হয়নি অধ্যক্ষ নিয়োগ । তাই এই মাদরাসার দীর্ঘদিনের অর্জন হারিয়ে যাওয়ার পথে। ১ম, ২য়, ও ৩য়কে বাদ দিয়ে ৭জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ আবেদনকারীকে অধ্যক্ষ নিয়োগের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
তথ্য সূত্রে জানাগেছে, সর্বশেষ ২৬ সেপ্টেম্বর অধ্যক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। ফলে বিধি অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। এ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুই বার পেছালো। অধ্যক্ষ থাকায় ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে লেখাপড়া বিঘœসহ দাপ্তরিক কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। যে কারনে অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন অন্য শিক্ষকরা আর হতাশ হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এ কে এম আব্দুল্যাহ চাকুরি মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত বছরের ৫ এপ্রিলে বিভিন্ন স্থানীয় ও দৈনিক পত্রিকায় অধ্যক্ষ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রয়োজনীয় প্রার্থী ও কাগজপত্র না থাকার অজুহাত দেখিয়ে সেটি ওইসময় বাতিল করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৭ মার্চ পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। তারই আলোকে অধ্যক্ষ পদে ১২ টি আবেদন পড়ে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাদরাসায় ইন্টারভিউতে ৮জনকে ডাকা হয়। অংশগ্রহন করেন ৭জন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি আব্দুল মুকিদ, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, অভিভাবক সদস্যসহ ৭জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অভিভাবক জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সকল কাজ সম্পাদন করেও অদৃশ্য কোন কারণে পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ১ম, ২য় ও ৩য়কে বাদ দিয়ে ৭জনের মধ্যে ৬ষ্ঠ আবেদনকারীকে অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদবির চলছে। নিয়োগ কমিটির অন্যদেরকে ও চাপ দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ লক্ষীপুর আলীয়া মাদরাসায় এভাবে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দিলে এই মাদরাসার সকল অর্জন হারিয়ে যাবে। সঠিক প্রক্রিয়ায় ভাল মেধাবী ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য জোর দাবি জানান তারা।
নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, অধ্যক্ষ নিয়োগ বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে নিয়োগের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে উত্তীর্ণদের নিয়োগ কেন হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে কোন সদুত্তোর দিতে পারেননি, এসময় তিনি ব্যাস্ততার অজুহাত দিয়ে ফোন রেখে দেন।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজান কামাল (এমপি) কে মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।