বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলতি মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করতে চায় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। মামলাসংক্রান্ত জটিলতা কেটে যাওয়ায় দ্রুত চূড়ান্ত ফল প্রকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, চলতি মাসেই ফল প্রকাশ করতে। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয়, তাহলে আগামী মাসে ৬৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হবে।’
এদিকে চলতি মাসে ফল প্রকাশ করার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছেন নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, এক লাখের বেশি আবেদন থেকে নিয়োগ চূড়ান্ত করা সময়সাপেক্ষ। রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল কোম্পানি টেলিটক একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে মেধাতালিকা প্রস্তুত করবে। এরপর তা অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পাওয়ার পরই ফল প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিটি ‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ নামে পরিচিত।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আদালতে চারটি মামলা দায়ের করেন ইনডেক্সধারী (এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত) একাধিক শিক্ষক। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের আবেদন করার সুযোগ এমপিওভুক্ত নীতিমালায় থাকার পরও সেটি বাতিল করে এনটিআরসিএ। আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলাগুলো দায়ের করেন শিক্ষকেরা। নীতিমালায় থাকার পরও কেন তাঁদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি, এটি জানতে আদালত থেকে রুলও জারি করা হয়।
এনটিআরসিএ’র ১৪তম নিবন্ধনে ৪৮৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশএনটিআরসিএ’র ১৪তম নিবন্ধনে ৪৮৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ
গত ২২ জানুয়ারি এক আদেশে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি-১২ নম্বর শর্ত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১৪ নভেম্বরের পরিপত্রের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট বিভাগ। একই সঙ্গে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিওভুক্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দিতেও নির্দেশ দেন আদালত। তবে গতকাল এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইনডেক্সধারী শিক্ষকেরা যেসব মামলা করেছেন তার সবগুলোতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত।
এখন ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা নেই। এখন প্রার্থীদের পছন্দ অনুসারে স্কুল-কলেজ নির্ধারণ করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। তবে ফল প্রকাশে কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
‘চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’ অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজার ৩৯০টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজে ৩১ হাজার ৫০৮টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার ৮৮২টি পদ রয়েছে। সব কটি পদই এমপিওভুক্ত। নিয়োগ সুপারিশ পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ২৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ছিল।
এবার একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তাঁর আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ)টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পছন্দ করতে পেরেছেন। সব আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে এক হাজার টাকা ফি প্রদান করতে হয়েছে।
এর আগে দেশের বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় একসঙ্গে এত বেশি শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি থেকে ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।