পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বার্ধক্যের মধ্যে এক অপার সৌন্দর্য উপলব্ধি করে তাঁর ‘পালামৌ’ প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মনুষ্য বৃদ্ধ না হইলে সুন্দর হয় না।’ বার্ধক্যের প্রতি সঞ্জীববাবুর শ্রদ্ধা, ভক্তি, ভালোবাসার নেপথ্য অভিব্যক্তি এ সুন্দর শব্দটি, যা বার্ধক্যকে আরও বিশেষভাবে সুন্দর করেছে। বৃদ্ধদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তিবশতই সঞ্জীববাবু এ কালজয়ী উক্তিটি করেছিলেন। সঞ্জীববাবু যে-যুগের প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন, সে-যুগের বৃদ্ধরা পরিবারে, সমাজে, জীবনের সর্বস্তরে শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে বিরাজ করতেন। বৃদ্ধরা নিজেদের ভবিষ্যৎ চিন্তার ভার পরবর্তী প্রজন্মের হাতে সুরক্ষিত জেনে, সন্তানদের সুখ-স্বাচ্ছ্যন্দ্য নিশ্চিত করতেন সাধ্যাতীত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে। এটি ছিল সনাতন আদর্শের অমোঘ বিধান, অলিখিত নির্দেশ। সে সব দিন আজ অপসৃত।
আজকের বার্ধক্যের কুৎসিত-বিভৎস রূপটি বিশ্ববাসীকে রীতিমতো শঙ্কিত করে তুলেছে। জরাগ্রস্ত বৃদ্ধরা আজ মানব সভ্যতাকে এক কঠিন প্রশ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে। সঞ্জীব বাবু যদি আজকের বৃদ্ধদের এ দুরবস্থা দেখে যাবার সুযোগ পেতেন, তাহলে হয়তো তাঁর এ স্মরণীয় উক্তিটির জন্য লজ্জিতই হতেন। আমাদের সনাতন আদর্শ আমাদের বার্ধক্যকে নিশ্চিন্তেই রেখেছিল এতদিন। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এসব সমস্যা দীর্ঘদিনের। আজ যেন সে সব সমস্যার উষ্ণ নিঃশ্বাস আমাদের সমাজ জীবনেও পড়তে শুরু করেছে।
বার্ধক্য মানব জীবনের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। প্রকৃতিই মানুষের জীবনের এ পরিণতি নির্ধারণ করে রেখেছে। জীববিজ্ঞান বলে, পঁচিশ বছর বয়সেই পরিপূর্ণ বিকাশের পর আমাদের সকলের দেহ বার্ধক্যের পথে যাত্রা শু করে। দেহ ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে। জীবকোষের সংখ্যা কমতে আরম্ভ করে। বয়সের সঙ্গে পেশির ক্ষয় সাধিত হয়। নার্ভসেলের সংখ্যাও কমতে থাকে। আমাদের ব্রেনের আকার ও ওজন দুটিই হ্রাস পায়। পঁচাত্তর বছর বয়সে অরিজিনাল ব্রেনের ওজন শতকরা ৫৬ ভাগ মাত্র অবশিষ্ট থাকে। দৃষ্টি ও শ্রবণশক্তি চল্লিশ বছর থেকেই কমতে আরম্ভ করে।
সে সময়টায় মানুষের জীবনে মানসিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রেই আসে নানা পরিবর্তন। নৃতত্ত্ববিদরা বলেন, মানুষ বৃদ্ধ হয় দু’ভাবেঃ প্রাইমারি এজিং (বয়সের সঙ্গে-সঙ্গে যে-বার্ধক্য আসে) ও সেক্রেন্ডারি এজিং (অসুখ-বিসুখের ফলে যে বার্ধক্য ত্বরান্বিত হয়)। বার্ধক্যকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা, মানসিক বার্ধক্য, সামাজিক বার্ধক্য এবং বায়োলজিকাল বার্ধক্য। কোন বার্ধক্যই একা আসে না, কোনও না কোনও বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আসে। কাজেই অনুমান করতে অসুবিধা হয় না বার্ধক্য কীভাবে সব দিক থেকে মানুষকে এক দুঃসহ অবস্থার আবর্তে ঠেলে দেয়। জীবনের সর্বক্ষেত্রকে অসহায় করে তোলে। এ সব সমস্যায় সমাবৃত হয়ে জীবন হয়ে ওঠে বিড়ম্বিত। দেহকে জরা গ্রাস করার সঙ্গে-সঙ্গে দুর্বলতা গ্রাস করে মানসিক স্থিতাবস্থা।
সংসারের উপর নিজের সুকঠিন নিয়ন্ত্রণ হতে থাকে শিথিল। আর্থিক স্বচ্ছলতায় আসে সীমাবদ্ধতা, ফলে পারিবারিক ব্যয় সংকোচন হয়ে ওঠে অনিবার্য। সাংসারিক দায়দায়িত্ব সমাপনান্তে সঞ্চিত অর্থভান্ডার ক্রমে হয় নিঃশেষিত। অর্থের অপ্রতুলতা ধীরে-ধীরে নিঃস্ব করে জীবনের অনিন্দ্য স্বাদ। সন্তানরা পিতা-মাতার প্রতি কর্তব্যে দায়বদ্ধ হলে মানসিক পীড়া কিছুটা লাঘব হয় বটে, অন্যথায় নিজেকে ভবিষ্যতের পায়ে সঁপে দেওয়া ছাড়া আর কোনও গত্যন্তর থাকে না। সে এক ভয়াবহ সময়, এক অসহনীয় অবস্থা। সে সময় মানুষ পুনরায় দ্বিতীয় শৈশবে ফিরে আসে। শিশু যেমন এ বিরাট ব্রহ্মান্ডে মায়ের সান্নিধ্য ছাড়া অসহায়বোধ করে, বৃদ্ধরাও সে সময়টাতে প্রিয়জনের সান্নিধ্য ছাড়া অসহায় বোধ করতে থাকেন। বার্ধক্যে প্রয়োজন হয় একান্ত আপনজনের নৈকট্য ও তাদের সহযোগিতা। বার্ধক্যের সনাতন ঐতিহ্য অনুসারেই এ সব মূল্যবোধের সাহচর্য পেয়ে এসেছে যুগ যুগ ধরে। এ সাহচর্য, সান্নিধ্য তাকে চেয়ে পেতে হয়নি কোনদিন। পেয়েছে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা অনুসারেই। এ অমূল্য মানসিকতাগুলো এতদিন পাশ্চাত্যের কাছে ঈর্ষার বস্তু হয়েই ছিল। আজ ওরা আমাদের সগোত্রে দীক্ষিত করতে পেরে আনন্দই উপভোগ করে।
আমাদের সমাজ জীবনে এ অবক্ষয় শুরু হয় একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাবার সময় থেকে। লোভ-লালসার যে বীজ দীর্ঘদিন আমাদের মানসিকতার অন্দরমহলে সুপ্ত ছিল, সে বীজ লোভের লালসায় সিক্ত হয়ে একান্নবর্তী পরিবারের পাষান প্রাচীরে অজান্তেই জন্ম দিয়েছিল এক বিষবৃক্ষের। সে বিষবৃক্ষ ধীরে-ধীরে প্রাচীরের গায়ে শিকড় বিস্তার করে তাতে ফাটল ধরায় ও কালক্রমে সে ফাটল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। একদিন সে বিষবৃক্ষের শিকড় মূল্যবোধের শক্তপোক্ত প্রাচীরটাকেই চৌচির করে ফেলে। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের সঙ্গে-সঙ্গে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে নিয়ে সংসারের এক পকেট সংস্করণের মানসিকতা আমাদের মধ্যে জন্ম নিতে থাকে। সেদিন থেকেই পরিবারে-পরিবারে বৃদ্ধরা অপাঙ্ক্তেয় হতে থাকেন। মাতা-পিতা পরিবারে আবর্জনার মতো বর্জনীয়- সে মানসিকতার জন্মও সেদিন থেকেই। এ প্রক্রিয়াটা আরও দ্রুততর হয় পাশ্চাত্যের হৃদয়হীন সংস্কৃতি সংযোজিত হওয়ার পর। বিশ্বায়নের বিষাক্ত নিঃশ্বাস আমাদের প্রাচ্যের বার্ধক্যকে আরও জটিল আবর্তের মধ্যে ঠেলে দেয়। হৃদয়হীনতাই যে-সংস্কৃতির মূল তথ্য, সে তথ্যের বাজারজাতকরণে খুব একটা সময় ব্যয় করতে হয়নি আমাদের। পাশ্চাত্যের এ উচ্ছিষ্ট মানসিকতা তিলে-তিলে গ্রাস করতে থাকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে।
পাশ্চাত্যের উদ্ধত যৌবন বার্ধক্যের প্রতি এতটাই নির্মম যে তারা বলে, দরিদ্র দেশগুলোতেই শুধু বৃদ্ধদের সম্মান বেশি। সেসব দেশে শিল্পের প্রগতি তেমন দ্রুত নয় বলে বৃদ্ধরা রাতারাতি কাজকর্মের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েন না, অথচ পশ্চিমে বিজ্ঞানের এমন দ্রুত উন্নতি হচ্ছে যে তার সঙ্গে তাল রেখে চলা বুড়োদের পক্ষে বেশ কষ্টকর। প্রতিযোগিতার দৌড়ে বৃদ্ধ বিজ্ঞানী, বৃদ্ধ ইঞ্জিনিয়ার, বৃদ্ধ কারিগর সবাইকে পথ ছেড়ে দিতে হয় নতুনদের। তার ফলেই একজন মানুষ জীবদ্দশায় গর গাড়ি থেকে মহাকাশচারী রকেটের বিবর্তন দেখে যেতে সক্ষম হচ্ছে। তাছাড়া শিল্প-সভ্যতায় এগিয়ে যাবার প্রতিযোগিতা এত কঠিন যে, অন্যের দিকে তাকানোর সময় থাকে না। নিজের স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে সামলানোই যথেষ্ট কাজ। তার উপর বাবা-মা ঘাড়ে চাপলে জীবনে আনন্দ বলে কিছু থাকে না। সুতরাং যে যার ঘর সামলাও। তবেই প্রগতির রথ এগিয়ে চলবে।
মতবাদ হিসাবে যুক্তিগুলো মন্দ নয়। প্রগতির এটাই হয়তো শর্টকার্ট রাস্তা। কিন্তু যে প্রগতিতে বৃদ্ধ পিতা-মাতার কোনও স্থান নেই, স্থান নেই স্বজন-সুহৃদদের, স্থান নেই মায়া-মমতার মতো মানবিক বৃত্তিগুলোর সে-প্রগতি কাদের জন্য? প্রগতির জন্য মানুষ, না মানুষের জন্য প্রগতি? প্রশ্নটা আজ না হোক কাল মানুষকে ভাবতেই হবে। সে-প্রগতি পাশ্চাত্যের হৃদয়হীন প্রগতিবাদীদের কাম্য হলেও, আমাদেরও কি কাম্য? প্রশ্নটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও লক্ষ টাকার প্রশ্ন।
প্রগতির প্রতি আমাদের কোনও ছুঁতমার্গ নেই। আমরাও তো আমাদের সন্তানদের জগতের এ আনন্দযজ্ঞে অংশীদার করাতে চাই। আমরাও চাই আমাদের সন্তানরাও একদিন আলোর ঠিকানায় পৌঁছে উপভোগ করে জীবনের অনিন্দ্য স্বাদ, যে-স্বাদ সুখের, সমৃদ্ধির, কল্যাণের। কিন্তু সে-প্রগতিকে আমরা কি মেনে নিতে পারি যে-প্রগতির রথের চাকা যাত্রাপথে আমাদের আশা-আকাংখাকে নির্মমভাবে পিষে দিয়ে যাবে? খুন করবে আমাদের বার্ধক্যকে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে? আমরা এগিয়ে যাওয়ার পরিপন্থী নই, কিন্তু তাই বলে মানবিক গুণগুলোকে মাড়িয়ে যাবার মতো উদারপন্থীও নিশ্চয় আমরা নই।
এ তথ্যটাই এতদিন প্রাচ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্যের একটা মৌলিক পার্থক্য সৃষ্টি করে রেখেছিল। কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। বৃদ্ধদের মতবাদও আজ জরাগ্রস্ত, কাজেই সে সব মতবাদকে উপেক্ষা করে পাশ্চাত্যের প্রগতির সূত্র অনুসরণ করেই আলেয়ার পিছনে ছুটে চলেছে, সে আলোর নীচে রয়েছে ঘনঘোর অন্ধকার- সে অন্ধকারে কত বীভৎস জীবননাট্য অভিনীত হচ্ছে তার প্রকৃত সংবাদ আমরা অনেকেই রাখি না। যা কিছু চক্চক্ করে তা সবসময় সোনা হয় না। সে সব দেশে প্রগতির ঘোড়া দুর্দমনীয় বেগে ছুটে চলেছে। অন্যদিকে সৃষ্টি করে চলেছে ভয়াবহ সামাজিক সমস্যা। দিনের পর দিন সে সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সমস্যার সূতিকাগারে এক সমস্যা অন্য সমস্যার জন্ম দিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত।
পশ্চিমের দেশগুলোতে যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপর তাদেরই বৃদ্ধ বলে চিহ্নিত করা হয়। ‘সিনিয়র সিটিজেন’ এ ছেলে ভোলানো সম্মাননা আজকাল আমাদের দেশেও কোনও কোন ক্ষেত্রে চালু হয়েছে। সে সব দেশে হিসাব করে দেখা গেছে, প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১০ জন বৃদ্ধ অর্থাৎ তাদের বয়স ৬৫ বছরের উপর, কাজেই অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে দেশের একটা বিরাট অংশ আজ বার্ধক্যের কবলে। সে হারে প্রতি বছর আরও নতুন সদস্য সংযোজিত হচ্ছে। সে বিপুল সংখ্যক বৃদ্ধদের নিয়ে পাশ্চাত্যের দেশগুলো আজ হিমশিম খাচ্ছে। নৃতত্ত্ববিদরা বার্ধক্যের এ ভয়াবহ সমস্যার সামাজিক সমাধান খোঁজে জীবনপাত করে চলেছেন, ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি ডলার। সমাধান সূত্র আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমীদের শিল্প বিপ্লব যে শুধু বার্ধক্যের অশেষ ক্ষতি সাধন করেছে তাই নয়, সামাজিক পরিকাঠামোটাই ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এ বিবেকহীন বিপ্লবের পথে চলে সমস্যার মূলে ওরা কোনদিনই পৌঁছতে পারবে না। কেবল সৃষ্টি হবে নতুন নতুন হোম বা বৃদ্ধাশ্রম। বৃদ্ধদের গিনিপিগ করে প্রতিনিয়ত চলবে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা। উঠে আসবে নতুন নতুন তথ্য। সবকিছুর যোগফল দাঁড়াবে শূন্য।
পশ্চিমীদের এ হোম বা নির্বাসন কেন্দ্রগুলোর সত্যিকারের চেহারাটা কী তা একবার দেখা যাক। প্রতিটা হোমে জরাগ্রস্ত, রোগাক্রান্ত অথর্ব মানুষগুলো মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুণছেন। সমাজে ওরা চ‚ড়ান্তভাবে অবহেলিত, উপেক্ষিত। সে দেশের যৌবন এসব বৃদ্ধ মানুষদের স¤মান দিতে রাজি নয়। পরিবর্তে চলে মানসিক নির্যাতন। বার্ধক্যের প্রতি ওরা শুধু নিষ্ঠুরই নয়, হিংস্রও বটে। সর্বক্ষণ ওরা বৃদ্ধদের মৃত্যু কামনাই করে। বৃদ্ধ শব্দটা সে সব দেশে গালাগালের নতুন সংযোজিত একটি প্রতিশব্দ মাত্র। সন্তানদের ক্রমাগত অবহেলা, প্রতিটি বৃদ্ধের জীবনকে করে তোলে বিতৃষ্ণ, বিবর্ণ। অপমান, অবহেলা সহ্য করতে হয় দিনের পর দিন মাসের পর মাস। এসব নিয়েও বেঁচে থাকতে হয়, মৃত্যু আসে না বলে। এর চেয়ে দুঃখদায়ক বাঁচা কিছু হতে পারে কি?
অথচ এসব বৃদ্ধদের একদিন সমাজে ছিল কিছু দুর্দন্ত প্রতাপ, কেউ ছিলেন প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানী, কেউ বা দার্শনিক, জজ, অর্থনীতির পন্ডিত, কেউ বা মিলিটারির বড় অফিসার আবার কেউ সেনেটর। আজ জরাগ্রস্ত দেহমন নিয়ে বাধ্য হয়ে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে হয়েছে। পুত্র-কন্যারা সবাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত, কেউ বাবা-মার খোঁজ নেবার প্রয়োজন অনুভব করে না। কোনও দায়বদ্ধতা নেই, মায়া-মমতার প্রশ্ন তো আসেই না।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট। সহ-সভাপতি প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জড়া বিজ্ঞান প্রতিষ্টান, সিলেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।