Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ ‘অভিশাপমুক্ত’ হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৮ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০১৬

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে বলেই আজ বাংলাদেশ ধীরে ধীরে অভিশাপমুক্ত হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র এখন আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারছে না।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধারণ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিশু প্রতিনিধি রাফিয়া তুর জামান। বিশিষ অতিথির  বক্তব্য রাখেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, শিশুদের পক্ষ থেকে শিশু ঋত্বিক জিদান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিশু ও মহিলা বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লার রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমান।   
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে ‘সম্পূর্ণ ভিন্ন’ দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। ‘যে ঘাতকের দল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, সেই খুনীদের বিচার আমরা করেছি। তাদের রায়ও কার্যকর হয়েছে। বাঙ্গালি জাতি অভিশাপমুক্ত হয়েছে।’
স্বাধীনতার পরও সেই ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা  বলেন, ‘একুশ বছর এদেশের মানুষ বঞ্চিত ছিল বিজয়ের ইতিহাস জানা থেকে। আমাদের যে গর্ব করার মতো কিছু ছিল- সেটুকু তারা জানতে পারেনি। তাদের সবকিছু যেন গুলিয়ে দেয়া যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করার সেই চেষ্টাই করা হয়েছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে; বর্তমান প্রজন্ম ‘প্রকৃত ইতিহাস’ জানতে পারছে। “আমরা এটাই চাই, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সংগ্রামের ইতিহাস ছেলেমেয়েরা জানবে। জেনে তাদের মন মানসিকতা সেইভাবে তৈরি হবে যে এই জাতি বিজয়ী জাতি, বঙ্গবন্ধু আমাদের হাতে বিজয়ের সেই পতাকা তুলে দিয়ে গেছেন।’ বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের কারাভোগ, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করার অভিজ্ঞতা এবং তার ছেলেবেলার বিভিন্ন ঘটনার কথা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশুদের সামনে তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী  বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে ধাপে ধাপে এ জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে জীবনে অনেক বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন, বারবার মৃত্যুর মুখে দাঁড়াতে হয়েছে তাকে। তিনি ছিলেন অদম্য সাহসী, নীতি ও লক্ষ্যে স্থির থেকে এগিয়ে গেছেন।
দাদীর কাছে শোনা বাবার কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ছোটবেলা থেকেই মানুষকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন বঙ্গবন্ধু। বালক বয়স থেকেই তিনি মানুষের উপকারে বিভিন্ন কাজ করতেন। নিজের জামা, খাবার ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিস অভাবি মানুষকে বিলিয়ে দিতেন। দুর্ভিক্ষের সময় বঙ্গবন্ধু তার বাবার গোলা থেকে ধান বিলিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানান শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সময় আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার বদলে তাকে দেখতে জেলখানায় যেতে হয়েছে। কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারা সময়ও বাবার সঙ্গে জেলে দেখা করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন, এ দেশের প্রতিটি শিশু শিক্ষিত হবে। আমরা সেই চেষ্টা করছি। প্রত্যেকটা শিশুর মাঝে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে, তা বিকাশের সুযোগ করে দিচ্ছি।
শিশু-কিশোরদের মন দিয়ে পড়াশোনা করা, মা-বাবার কথা শোনা, শিক্ষকদের কথা শোনা, বড়দের মান্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরা যতোদূর পারো শিক্ষা অর্জন করবে। শিক্ষা হবে তোমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ শিক্ষা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তোমরা এ শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে দেশ গড়ে তুলবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, মেধা-জ্ঞানচর্চা,  প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন- সবদিকে তোমাদের মনোনিবেশ করতে হবে।
বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভাই ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে আবেগে আপ্লুত শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র ৫৪ বছর বয়সে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে দশ বছর বয়সে। আজ তাদের ছবির দিকে তাকিয়ে ভাবি, বাবা বেঁচে থাকলে আজকে দেখতে কেমন হতেন। ছোট্ট রাসেল বেঁচে থাকলে দেখতে কেমন হতো।
জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে এগিয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো। শিশু-কিশোররাই সোনার বাংলা গড়ার প্রধান শক্তি।
শিশু সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা ও ৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরে শিশু ও মহিলা অধিদপ্তরের উদ্যোগে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার দুস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেসিন বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর গোপালগঞ্জের শিশু শিল্পীরা ‘শুধু তোমার জন্য’ শীর্ষক কাব্য নৃত্য গীতি আলেখ্য পরিবেশন করে। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী  ও দর্শক এ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র আয়োজিত দিনব্যাপী গ্রন্থ মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় বইয়ের ১১টি স্টল বসেছে।
বাঙ্গালী জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি জন্ম দিনের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে আসেন। ১০টার কিছুক্ষণ পর প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।  
প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী ধীর পায়ে বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধের বেদীর দিকে এগিয়ে যান। সকাল ১০টা ২০ মিনিটে প্রথমে মোঃ আব্দুল হামিদ গোটা জাতির পক্ষ থেকে স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদেন করেন। এরপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ বেদীর পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকার পর পবিত্র ফাতেহা পাঠ করেন। তারা বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসাধারণ সম্পাদক  জন প্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বঙ্গবন্ধু সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি জন্মদিনের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ সমাধিসৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এ অনুষ্ঠানে  কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন, হাবিবুর রহমান সিরাজ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, আব্দুর রহমান এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি, খালিদ মাহামুদ চৌধূরী এমপি, মুজিবুর রহমান চৌধূরী নিক্সন এমপি পুলিশের আই.জি শহিদুল ইসলাম, র‌্যাবের মহা পরিচালক বেনজির আহমেদ, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধূরী এমদাদাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু, শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গাজী গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু, শেখ আহমেদ হোসেন মীর্জা, এইচএম অহিদুল ইসলাম, সাবেক পৌর মোঃ ইলিয়াস হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল বশার খায়ের, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, এস.এম হুমায়ূন কবির, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিটু, আওয়ামী লীগ নেতা সোলায়মান বিশ্বাস, মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যগণ, তিনবাহিনী প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে  টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
দুপুরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু ভবনে নামাজ আদায় করেন। বাদ জোহর টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ভবনে বসেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ মসজিদে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
তারপর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ অবমুক্ত করে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আগত মানুষের ঢল নামে। রংবেরং এর পতাকা ও তোরণ দিয়ে  টুঙ্গিপাড়াকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়।
শিশু সমাবেশের শুরুতে শুভ শুভ শুভ দিন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ধ্বনিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবের জন্মভূমি টুঙ্গিপাড়া  মুখরিত হয়ে ওঠে। সর্বত্রই বিরাজ করছিল উৎসবের আমেজ। শিশু-কিশোর সমাবেশের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে শিশুদের পরিবেশনা। উৎসবমুখর পরিবেশে হাজার হাজার  মুজিব আদর্শের সৈনিক ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি জন্মদিনের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জন্মদিনে বাঙ্গালীর ফুলে ও ভালবাসায় সবার শ্রেষ্ঠ বঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু সিক্ত হন।
প্রার্থনা সভা
গোপালগঞ্জ কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালিবাড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সেখানে বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, শাস্ত্রপাঠ, আলাচনা সভা ও ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এ ছাড়া শহরের শেখ রাসেল শিশু পার্ক সংলগ্ন লোকনাথ মন্দিরে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রর্থনা সভা, বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয় বলে মন্দিরের পূজারী খোকন কর্মকার জানিয়েছেন।



 

Show all comments
  • Rana ১৮ মার্চ, ২০১৬, ৮:৩৮ এএম says : 0
    In Sha Allah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ ‘অভিশাপমুক্ত’ হয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ