বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আগামী ৭ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। সোমবার জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ধানমন্ডী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন এ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব বলেন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দলনিরপেক্ষ সরকার গঠন ছাড়া সকলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ উপলব্দি থেকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে এক নাগরিক সমাবেশ থেকে সরকারকে ৩০ সেপ্টেম্বরেরমধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানায়। তবে এ সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকার গঠনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তাই দাবী আদায়ের লক্ষে আগামী ৭ অক্টোবর বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হবে এবং মানববন্ধন শেষে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
তিনি বলেন, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বহু ত্যাগ ও প্রাণের বিনিময়ে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও দেশের মালিক জনগণ এখন ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত। হিংসা-বিদ্বেষ, গুম-খুন, প্রতিহিংসা-প্রতিশোধ, নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণে এখন দলীয় সরকারের অধীনে জনমতের প্রতিফলন ঘটে এমন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
সংবিধানে বলা আছে দেশের মালিক জনগণ। জনগণ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা দেশ পরিচালনা করবে। ভোট না থাকা মানে জনগণ দেশের মালিকও নয়। দেশের মালিক জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার একক দায়িত্ব সরকারের। জনগণের জানমাল সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করার দায়িত্বও সরকারের। দেশের মানুষ আশা করে যে সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করবে। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সাথে সংলাপের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যমত্য সৃষ্টি করে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকার গঠনের দাবী পুন:ব্যক্ত করে। সরকার এ দাবী পূরণে ব্যর্থ হবার কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা হলে, নাগরিকদের জানমাল, সম্পদের ক্ষতি হলে, সমাজে স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হলে সকল দায় দায়িত্ব এককভাবে সরকারকে বহন করতে হবে।
এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিসি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ.ও.ম. শফিক উল্ল্যাহ, মোস্তাক আহমেদ, নুরুল হুদা মিনু চৌধুরী, হারুনুর রশিদ তালুকদার, ড. হেলেনা বুলবুল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।