পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের অনিয়ম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়তে। আর আমাদের জাতীয় ঐক্য হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। কোন একক দল বা কোন রাজনৈতিক উত্তরাধিকারকে ক্ষমতায় আনতে আমাদের ঐক্য নয়। গতকাল সকালে গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা বিকল্প ধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি. চৌধুরী।
মান্না বলেন, বিএনপিকে কোনো সমর্থন করা হবে না, এ ধরনের কোনো আলোচনা যুক্তফ্রন্টের বৈঠকে হয়নি। তিনি বলেন, সভায় এ ধরনের কোনো আলোচনা হয়নি, অথচ এই সংবাদটা প্রচার হলে আমাদের সামগ্রিক রাজনীতি ও আন্দোলনকে ড্যামেজ করে দিতে পারে। নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তফ্রন্টের বৈঠক শেষে একটি নিউজ দেখলাম, বিএনপিকে কোনো সমর্থন করা হবে না। এ ধরনের কোনো আলোচনা সভায় হয়নি। অথচ এই সংবাদটা আমাদের সামগ্রিক রাজনীতি ও আন্দোলনকে ড্যামেজ করে দিতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়া উচিৎ মনে করে এই সংবাদ সম্মেলন করছি।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে এখন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা চলছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয়, যেটা সবার কাছে যেন গ্রহণযোগ্য হয়, সবাই অংশ নিতে পারে, এই সংগ্রাম আমরা বহুদিন থেকে করছি। যেহেতু এই দায়িত্বটা সরকারের। সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আছে। তবে কমিশন বহুলাংশেই সরকারের ওপর নিভর্রশীল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ওপর কতখানি নির্ভরশীল সেটা আপনারা দেখছেন। সেজন্যই এই দাবিটা সরকারের কাছেই দেওয়া উচিৎ।
মান্না বলেন, সর্বশেষ চাকরি প্রার্থী যুবকদের আন্দোলনের ওপরে যে নৃসংশতা হলো সেটা দেখার পরে সবাই মনে করে যে, এটার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ হওয়া দরকার। আমরা সম্মিলিত প্রতিরোধের পক্ষে আছি। আমরা মনে করি, এই দুটো বড় দল দিয়ে বা বড় জোট দিয়ে আমরা যে গণতন্ত্রের লড়াইটা করছি এটা তার যৌক্তিক অভিধায় পৌঁছাবে না। অর্থাৎ এখন গণতন্ত্রের যে সংকট একটা সরকার বদলালেই যে সেই সংকট কেটে যাবে তা নয়। এই সংকটটা আসলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে আছে। এ সংকটটা আমাদের পদ্ধতির মধ্যে আছে, সেটার পরিবর্তন করতে হবে। যারাই ক্ষমতায় যাবেন, তারা যদি একক নিরঙ্কুশ হয়ে যেতে পারেন এবং যাচ্ছেতাই করতে পারেন, তাহলে গণতন্ত্র কখনই হবে না। এজন্য আমরা প্রথম থেকেই বলছি, দুটোর বিকল্প একটা শক্তি তৈরি করতে হবে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই আর স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারেন না।
জোটের নেতৃত্বে কে আসবে এর জবাবে মান্না বলেন, এই ধারণাটা ভুল। উদাহরণ দিই, স¤প্রতি ১৫ দলের ঐক্য হয়েছিল। তার নেতৃত্বে কেউ ছিল না। কোনো চেয়ারম্যান আহ্বায়ক কিছুই ছিল না। পরশুদিন ৮ দলের একটা জোট হলো। তার মধ্যে কোনো কনভেনার প্রেসিডেন্ট নেই, ওটা বাই রোটেশন হয়। নেতৃত্বটা আসে বাস্তব আন্দোলনের মধ্যে থেকে। অথবা আন্দোলনের শক্তি যার যে রকম আসে সেরকম করে। এখানে আগে থেকেই কাউকে নেতা নির্বাচন করে নামতে হবে সেরকম নয়।
জামায়াতকে নিয়ে জোট করবেন কি না জানতে চাইলে মান্না বলেন, জামায়াত তো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আসতে পারবে না। তাদের নিবন্ধনই নেই। জামায়াত-বিএনপি থেকে ১০ সিটে মনোনয়ন পেলো কিন্তু তারা তো আর দাঁড়িপাল্লা নিয়ে করবে না। সরকারি দলের মধ্যেও তো যথেষ্ট অনুপ্রবেশ আছে। আবার এটাকে যারা বড় ইস্যু করছেন তাদের বলছি, রাজনৈতিক বা সাংগঠনিকভাবে জামায়াত নেই। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।