পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট ও চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছেন রাজশাহী বিএনপি নেতৃবৃন্দ। প্রথমে ২৭ অক্টোবর রাজশাহীতে এ সমাবেশ হবার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তা নির্ধারন করা হয়েছে ৩০ অক্টোবর। দিনটি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করছে বিএনপি রাজশাহী মহানগর। ইতোমধ্যে এনিয়ে একদফা বৈঠক করেছেন। এ কটাদিন তারা ঘন ঘন বসবেন এমনটা জানিয়েছেন নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র ও এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, এমনিতে রাজশাহী অঞ্চল বিএনপির দূর্গ। শত রাজনৈতিক সিডরে ক্ষতবিক্ষত হলেও এ দূর্গ অক্ষুন্ন রয়েছে। রাস্তায় পুলিশী কোন বাধা না হলে সমাবেশ ঘিরে জনতার ঢল নামবে। এখনো পুলিশী বাধা জুলুম গ্রেফতার উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এমনকি মহিলা দলের কর্মীরা রাজপথে আসছেন। অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন কর্মসূচিতে। পুলিশী বাধা না থাকলে প্রতিটি কর্মসূচিতে নেতাকর্মী সমর্থকদের ঢল নামতো। ৩০ অক্টোবর জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সমাবেশের জন্য ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানের আবেদন করা হয়েছে। যেখানে বড় বড় দলের প্রধানরা ভাষন দেন। আমরা ১৪ দলের মত নগরীর প্রানকেন্দ্রের রাস্তায় সমাবেশ করে নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলতে চায়না। সেখানে অনুমতি না পাওয়া গেলে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মনিচত্ত¡র কিংবা গণকপাড়ায় সমাবেশের জন্য বিকল্প হিসাবে বলছেন। আর যদি তাও না দেয় তবে রাস্তায় দাড়িয়ে সমাবেশ করবেন। গত ৯ অক্টোবর রাজশাহীর সাহেব বাজার বড় রাস্তায় সমাবেশ করে গেছেন ১৪ দলের জোট নেতৃবৃন্দ। এখানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের নেতা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাসিম, ওয়াকার্স পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ জোট নেতৃবৃন্দ।
এরপর এখন ঘোষনা দেয়া হয়েছে রাজশাহীতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশের। নামে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ হলেও তা সফল করার দায়িত্ব বর্তেছে বিএনপির উপর। সুযোগ এসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবড়ানিতে কোনঠাসা বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থকদের রাজপথে সক্রিয় হবার। তবে তা কতটুকু পাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনুমতি নিয়ে সিলেটের মত লুকোচুরি করা হবে কিনা তা নিয়ে। তবে রাজশাহীতে তেমনটি হবে না এমন প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদের। তাদের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের। বাধা বিপত্তি না থাকলে ক’দিনের নোটিশে বিশাল সমাবেশ করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। সেটির প্রমান রাখতে চায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে। প্রয়োজন শুধু বাধা বিঘ্নহীন সমাবেশ করার অনুমতি। বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত বলেন, আমাদের প্রত্যাশা মাদরাসা ময়দানে সমাবেশ করার অনুমতি মিলবে। মাদরাসা ময়দানে অনুমতি না দিলে অগত্যা আমাদের সাহেব বাজার বা তার আশেপাশে সমাবেশ করতে হবে। সবি নির্ভর করছে অনুমতির উপর। যেখানে জনসভা হবে সেখানে মানুষের ঢল নামবে। কারন মানুষ দু:শাসনের দমবন্ধকর অবস্থা থেকে মুক্তি চায়। ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিএনপি ছাড়াও দেশের বেশকিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যুক্ত হয়েছে ঐক্য প্রক্রিয়ায়। অন্য সমাবেশের চেয়ে এবারের সমাবেশ হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। পাবে ভিন্নমাত্রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।