মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সরাসরি নাম না করে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদ দমনে শুধুই সদিচ্ছা দেখালে হবে না। গঠনমূলক কিছু করার ইচ্ছা থাকলে, আগে তা করে দেখাতে হবে। না হলে, শুধু বৈঠকে বসে কোনও কাজের কাজ হবে না।” নিউইয়র্কে, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে ‘সার্ক’ জোটের দেশগুলির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বহু দিন পর ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দিল্লি প্রথমে তাতে সাড়া দেয়। কিন্তু হালে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানে এক জওয়ান ও তিন পুলিশকর্মীর মৃত্যু ও বছর দু’য়েক আগে সেনাগুলিতে হত জঙ্গি বুরহান ওয়ানির স্মরণে ইসলামাবাদের ডাকটিকিট প্রকাশের উদ্যোগের প্রেক্ষিতে ভারত সেই বৈঠক বাতিল করে দেয়।
নিউইয়র্কে ‘সার্ক’ দেশগুলির বৈঠকে সুষমা দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এই অঞ্চলে সন্ত্রাসের আশঙ্কা ও ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। গোটা বিশ্বে তো বটেই, আমাদের এই এলাকা (দক্ষিণ এশিয়া)-তেও শান্তি ও স্থায়ীত্বের পক্ষে সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদ। কোনও বাছবিচার না করে সন্ত্রাসবাদকে সব রকম ভাবে মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।”
‘সার্ক’ বৈঠকে তার ভাষণ শেষ হওয়ার পর পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির বক্তৃতা শুরুর আগেই সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সবাইকে কিছুটা অপ্রস্তুত করে দিয়ে কুরেশি সরাসরি নাম না করে সুষমার দ্রুত প্রস্থান নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে কুরেশি বলেন, “সার্ক দেশগুলির জোটের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি দেশ (পড়ুন, ভারত)-ই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের দিক থেকে গঠনমূলক উদ্যোগ বলতেই আমার মনে আসবে, উনি (পড়ুন, সুষমা স্বরাজ) বৈঠকের মাঝ পথে উঠে গেলেন সভা ছেড়ে। হতে পারে, উনি সুস্থ বোধ করছেন না।”
পরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুরেশির ওই মন্তব্যকে ‘বিস্ময়কর ও দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, “এ ব্যাপারে সুষমাই প্রথম বা একা নন, যিনি সার্ক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই উঠে এসেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগে সভা ছেড়ে উঠে এসেছেন বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও নিউইয়র্কে ভারতীয় সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের জন্যই তাকে দ্রুত সভা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।