পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রংপুরে সাম্প্রদায়িক হামলায় যেসব হিন্দু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে আশ্বস্ত করেছে। সোমবার এক টুইট বার্তায় সুষমা জানান, এ বিষয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছ থেকে তারা বিস্তারিত প্রতিবেদন পেয়েছেন। বিবিসি সূত্রে জানা যায়, যদিও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখনও আক্রান্ত হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
গত শুক্রবার রংপুরের এক হিন্দু যুবক তার ফেসবুকে হযরত মোহাম্মদ (সা.)কে ব্যাঙ্গ করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে-এই অভিযোগে স্থানীয় মুসুল্লিরা রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি হিন্দু গ্রামে হামলা চালায়। এসময় তারা কয়েকটি বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে এসময় একজন নিহত হন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার টুইট বার্তায় আরও বলেছেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ঢাকায় তাদের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে জানিয়েছেন, হামলায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। তিনি জানান, হিন্দুদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে।
এর আগেও বাংলাদেশে যখন হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে তখন সুষমা স্বরাজ তার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের ওপর হামলার পরেও প্রায় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। সেসময় সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, আমরা আশা করবো বাংলাদেশ সরকার সেদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা দেবে।
ভারতের আরেক প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্মী সেনা বাহিনীর হামলার ব্যাপারে ভারত এখনও পর্যন্ত কিছুই বলেনি। বাংলাদেশের চাপে পড়ে সম্প্রতি দিল্লি শুধু বলেছে, মিয়ানমারে দু'পক্ষকেই সংযম দেখাতে হবে।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের ঘোষিত নীতি হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে সংখ্যালঘু হিন্দু খৃস্টান বৌদ্ধ যারাই ভারতে পালিয়ে আসবে তাদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। তবে ওই তালিকায়ও মুসলমানদের নাম নেই।
একারণে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসহ ভারতেও অনেকে বিজেপি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তারা বলেছেন, সরকারের এই অবস্থান ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।