মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক বছরে ২ শতাংশ বেড়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তরপর্ব চলার সময় লিখিতভাবে তিনি এ তথ্য জানান।
সুষমার দাবি, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু সমস্যা সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত। তবে ভারতের উদ্যোগ শুধু দ্বিপাক্ষিক স্তরে বিষয়টি উত্থাপন করেই আটকে নেই, সমস্যা সমাধানে ওইসব দেশের সরকারগুলোর সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে কেন্দ্র।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার নিশ্চিত করেছে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা কড়া হাতে দমন করা হবে। একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আফগানিস্তানও। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নিগ্রহ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জেও সরব হয়েছে ভারত।
রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের এদিন নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিলে সম্মতি জানানোর অনুরোধও জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ।
বাংলাদেশ ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব অনুসারে, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৮.৪ শতাংশ হিন্দুর বাস ছিল। ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১০.৭ শতাংশ।
সুষমা স্বীকার করে নেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ঠিকই, তবে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের ঘটনা আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ সব বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রংপুরে দুটি হামলার কথা উল্লেখ করে সুষমা বলেন, প্রথম ক্ষেত্রে ৬৭ জনকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। রংপুরেও উসকানিদাতারা জেলেই রয়েছে। দুটি মামলাই আপাতত বিচারাধীন।
অন্যদিকে, আফগানিস্তান সরকারও দেশীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুষমা স্বরাজ।
পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে প্রবেশ করছেন, এ দাবি মেনে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন হলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দায়িত্ব এড়াচ্ছে না। শরণার্থী সংখ্যালঘুদের যাতে দ্রুত নাগরিকত্ব দেওয়া যায়, সেজন্যই রাজ্যসভার সাংসদদের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিলে সম্মতি জানানোর অনুরোধ জানান সুষমা।
লোকসভায় ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে বিলটি পাশ হয়েছে। রাজ্যসভার সম্মতি পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে।
সুষমা বলেন, যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে আসছেন, তাদের প্রথমে ২ বছরের ভিসা দেওয়া হবে। এরপর আরও ৫ বছর। তারপরও যদি তারা এদেশে থেকে যেতে চান, তাহলে নতুন আইন অনুসারে ৭ বছরের মাথায় স্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সূত্র : আজকাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।