পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। চতুর্থ যৌথ পরামর্শ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে ২৩ অক্টোবর ঢাকা আসবেন তিনি। আগামী নির্বাচনকে সামনে তার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও কূটনৈতিক সূত্রমতে, চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধান ও তিস্তা ইস্যু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে প্রাধান্য পাবে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিাসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের কথা রয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সুষমা স্বরাজের বৈঠক হবে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ঢাকা সফরে গিয়ে বেগম জিয়ার সাথেও বৈঠকে বসতে চলেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক নেতা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সুষমা স্বরাজের ‘বৈঠক হবে’ এনিয়ে বিএনপি আশাবাদী। চোখ ও পায়ের চিকিৎসা শেষে প্রায় তিন মাস পর যুক্তরাজ্য থেকে গত ১৮ অক্টোবর দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর শুধু রোহিঙ্গা সংকট সমাধান কিংবা চতুর্থ যৌথ পরামর্শ কমিটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র জানায়, দুই দিনের এই সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা ১৫ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে পর্যালোচনা হবে। গত এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের কোনো শীর্ষ মন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এর আগে আসেন ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ২০১৫ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশ সফর করেন। চলতি বছরের এপ্রিলে ভারত সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যৌথ কমিশনে সভাপতিত্ব করবেন সুষমা স্বরাজ এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বৈঠকে তিস্তা পানি বন্টন চুক্তি নিয়েও আলোচনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।