Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)

কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও এরাবিক)-এর সমমান দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাশ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও শোকরিয়া মিছিল করেছে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)। সমাবেশে বেফাক নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকালের দিনটি বাংলাদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা বিশেষ করে আলেম-উলামা ও কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। বৃটিশ সরকার কওমী মাদরাসাকে মূল্যায়ন করেনি। পাকিস্তান সরকার মূল্যায়ন করেনি। বাংলাদেশ হওয়ার পর বিগত সরকারগুলোও আমাদের এই দাবীর স্বপক্ষে বাস্তবসম্মত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা বর্তমান সরকারের এই সাহসী ভূমিকার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেইসাথে জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবর্গ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা, সামরিক সচিব, সচিব ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বেফাকের সভাপতি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা.বা. এবং দেশের শীর্ষ উলামা মাশায়েখের প্রতি, যাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও হেকমতপূর্ণ মেহনতের ফলশ্রুতিতেই এই সাফল্য আজ চূড়ান্ত বাস্তবতার আলো দেখতে পেয়েছে।
বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আল হাইয়্যাতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কাওমিয়্যা বাংলাদেশের কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মহা-পরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা আশরাফ আলী বলেন, কওমী মাদরাসা দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত। এই মাদরাসা থেকে চোর, ডাকাত, জঙ্গী ও দূর্নীতিবাজ তৈরি হয়না। আদর্শবান, দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি হয়। তারাই দূর্নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। সনদের স্বীকৃতির মাধ্যমে এখন তারা দেশ গঠনে আগের তুলনায় অধিকতর ভূমিকা রাখতে পারবে। বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আন্দোলন অনেক হয়েছে। কিন্তু মূল্যায়ন হয়নি। বৃটিশ সরকার কওমী মাদরাসাকে মূল্যায়ন করেনি। পাকিস্তান সরকার মূল্যায়ন করেনি। বাংলাদেশ হওয়ার পর বিগত সরকারগুলোও আমাদের এই দাবীর স্বপক্ষে বাস্তবসম্মত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা বর্তমান সরকারের এই সাহসী ভূমিকার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (ইত্তিহাদ)
১৯ সেপ্টেম্বর মহান জাতীয় সংসদের আল-হাইয়াতুল উলিয়ার অধীনে কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদীসকে মার্স্টাস (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে বিল অনুমোদন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার, শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আনজুমানে ইত্তিহাদুল মাদারিস আল-আহলিয়া বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী আবদুল হালীম বুখারী।
বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (ইত্তেহাদ)-এর সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যতম প্রধান কওমি মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা মুফতী আবদুল হালীম বুখারী এক বিবৃতিতে বলেছেন, ব্রিটিশ উপনিবেশকালে মুসলমানদের থেকে রাজত্ব ও শিক্ষা কেড়ে নেয়ার প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও তাহযীব-তামাদ্দুন রক্ষা এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষ্যে দারুল উলুম দেওবন্দ ও তার চিন্তাধারায় কওমি মাদরাসাসমূহ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার দীর্ঘ সময় পার হলেও কওমি মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি দিয়ে একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছেন। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ