বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী। তার নাম মামুনুর রশিদ। তিনি কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মীরপুর এলাকার আবু তাহেরের পুত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় বুধবার রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন বলে জানান কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন জানান, বুধবার রাত ৮ টার দিকে বাড়ির কাছে ১৪-১৫ জন সন্ত্রাসী মামুনকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। একই ঘটনায় মামুনের সাথে থাকা বড়উঠান ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম আহত হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ছাত্রলীগ নেতা আজিজ বলেন, বড়উঠান ইউনিয়নে আশিক, আলী আজগর, ওমর, শাহনুর, আজমসহ আরো ১৪-১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক, ইয়াবা ব্যবসা ও মোবাইল ফোন চুরি করে আসছিল। তাদের এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সন্ধ্যায় এলাকায় একটি সামাজিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, এ বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মামুনের বাড়ির পুকুর ঘাটে বসে আমি ও মামুন আলাপ করছিলাম। এ সময় হঠাৎ অতর্কিতভাবে তারা এসে দা কিরিচ ও ছুরি দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপানো শুরু করে।
তাদের বাড়ি বড়উঠান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড়ের শাহমীরপুর এলাকায়।
কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফারুক চৌধুরী বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসরের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছিলেন মামুন। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তার উপর হামলা চালিয়েছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর মাহমুদ বলেন, শাহ মীরপুর এলাকায় মামুন আল রশিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা। অন্তঃকোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি আমরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।