পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে মুসলিম বিশ্বের বিপজ্জনক চ্যালেঞ্জ নিয়ে সতর্কতার কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। রবিবার সউদী আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে পাঠানো এক বার্তায় এরদোগান বলেন, এই অবস্থায় মুসলিম বিশ্বের স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এরদোগান বলেন, ইসলামি বিশ্ব এখন গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতা বেশি প্রয়োজন। বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর প্রতি সংহতি জানানো প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। আরব অঞ্চলে একাধিক সংঘাত চলমান রয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়াতে সংঘাতে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ জড়িয়ে পড়েছে। ইয়েমেনে সউদী আরবের নেতৃত্বে আরব জোট ইরান সমর্থিত হুতি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। অভিযানে বেসামরিক হত্যায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনা হচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে তুরস্ক। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছে তুরস্ক। অপর এক খবরে বলা হয়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, তিনি এই মাসের শেষে জার্মানি সফরে দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ও তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম কমে যাওয়ার পর থেকে দেশটি ইউরোপের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্কের আরো উন্নয়ন করতে চাচ্ছে। আগামী ২৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর জার্মানি সফরের আগে এরদোগান জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ‘আমার জার্মানি সফরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্কের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ফেলে দেওয়াই হবে আমাদের প্রধান এজেন্ডা।’ তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আবারও চালু করার জন্য এটা একটা পদক্ষেপ হবে।’ ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর কয়েকজন জার্মান নাগরিকসহ হাজার হাজার মানুষকে বন্দি করার পর থেকে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তবে একজন জার্মান-তুর্কি সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়া ও আরেকজন জার্মান নাগরিককে দেশত্যাগ করার অনুমতি দেওয়ার পর অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়। জার্মানিতে প্রায় ৩০ লাখ তুর্কি ইহুদি বাস করেন যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেকেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। জার্মান কর্মকর্তারা মনে করেন, তুরস্কে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থাকার পরও তাদের সম্পর্কের উন্নতি করা ছাড়া কোনও পথ নেই। শুক্রবার তুর্কি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শলৎস বলেন, জার্মান চ্যান্সেলন অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠককালে এরদোগানের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা চাওয়া হবে না। আনাদোলু, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।