Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘পাকিস্তান এখনো ভারতের জন্য কারতারপুর খুলে দিতে আগ্রহী’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৭:১৯ পিএম

সংলাপে বসতে ভারতের অস্বীকৃতি সত্ত্বেও পাকিস্তান সরকার ভারতের সঙ্গে কারতারপুর সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। এই পথ দিয়ে শিখ তীর্থযাত্রীরা কোন ভিসা ছাড়াই গুরুদুয়ারা দরবার ভ্রমণে যেতে পারেন।
সোমবার হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “জাতিসংঘে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো তা বাতিল করা দু:খজনক হলেওে এর জন্য জনগণকে দুর্দশায় ফেলা উচিত হবে না। এ কারনেই পাকিস্তান এখনো কারতারপুর সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে আগ্রহী।”
টেলিফোনে ভারতীয় পত্রিকাটিকে দেয়া স্বাক্ষাতকারে মন্ত্রী বলেন, “এটা সাধারণ জনগণের একটি বিষয়, যা শিখ ও ভারতের অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে দুর্দশায় ফেলা ঠিক হবে না এবং পাকিস্তানের সেনা প্রধান পাঞ্জাবের মন্ত্রী সিধুকে অনানুষ্ঠানিকভাবে যে প্রস্তাব দিয়েছেন আমরা তা আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে চাচ্ছি।”
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সিধু। তিনি পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গেও সাক্ষাত করেন। তখন সেনা প্রধান বলেছিলেন যে শিখ সম্প্রদায় যখন বাবা নানকের ৫৫০তম জন্মদিন পালন করবে তখন পাকিস্তান কারতারপুর-সাহেব করিডোর খুলে দেব।
কাশ্মিরকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সমস্যার মূল ইস্যু উল্লেখ করে পাকিস্তান সরকার কাশ্মির সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারত শান্তির চমৎকার সুযোগটি নষ্ট করেছে।” তিনি আরো বলেন, “পাকিস্তানের কাছে যুদ্ধসহ বেশ কিছু বিকল্প থাকলেও সরকার কোন সংঘাতমূলক ব্যবস্থা গ্রহণকে ‘বোকামী’ বলে মনে করছে।”
সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাত্র এক দিনের মাথায় অভ্যন্তরিণ চাপে গত শুক্রবার ভারত সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল করে। বৈঠক বাতিলের জন্য যেসব কারণ উল্লেখ করা হয় সেগুলো নিয়ে গভীর হতাশা ব্যক্ত করে পাকিস্তান। সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান-ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ