নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাজনৈতিক বিরোধের কারণে ছয় বছরেরও বেশি সময় দু’দলের মধ্যে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয় না। সেই চিরবৈরী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে চার দিনের ব্যবধানে আবারো মুখোমুখি করছে এবারের এশিয়া কাপ ক্রিকেট। দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় দু’দলের মধ্যকার আজকের এই ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে।
আসরের সুপার ফোর পর্বে এটি তাদের নিজ নিজ দ্বিতীয় ম্যাচ। এই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় ভারত। আর আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের পথে যাত্রা শুরু করে পাকিস্তান। দুই দলই যে বাড়তি প্রেরণা নিয়েই মাঠে নামবে একথা বলা যেতেই পারে। পাশাপাশি ভারতের যদি থাকে চার দিন আগে চিরপ্রতিদ্বন্দীদের ৭ উইকেটে হারানোর আত্মবিশ্বাস, সেক্ষেত্রে ভারতের সেই আত্মবিশ্বাসের ঘাড়েই পাকিস্তান ঠালতে পারে প্রতিশোধের আগুন। আরো একটি ব্যাট বলের যুদ্ধ দেখার প্রস্তুতি তাই নেয়া যেতেই পারে।
এদিকে আবু ধাবিতে গ্রুপ পর্বে পরাজিত দুই দল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানও পরস্পরের মুখোমুখি হচ্ছে আজ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে হেরে বসায় আসরে টিকে থাকতে দুই দলের সামনেই এখন জয়ের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে হয়ত বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকবে আফগানরাই। আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এই বাংলাদেশকেই তো তারা হারিয়েছিল ১৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।
একদিকে ইনজুরি আক্রান্ত বাংলাদেশ দল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ খেলোয়াড় রয়েছেন ফর্মহীনতায়। এর প্রভাব স্পষ্ট হয়েছে বাংলাদেশের শেষ দুই ম্যাচে। আফগানিস্তনের কাছে অসহায় আত্মসমর্পনের ঠিক পরের দিন সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছেও প্রতিরোধবিহীন পরাজয়। এশিয়া কাপে টিকে থাকাটা তাই এখন আফগানদের চেয়ে বাংলাদেশের কাছেই কঠিন চ্যালেঞ্চ। তবে কঠিন সমীকরণের সামনেও এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার আশা হারাচ্ছেন না বাংলাদেশ দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা, ‘এমন বাজে অবস্থার মধ্যেও এখনও ফাইনাল খেলা সম্ভব। আমার মতে এখনই এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যদিও দুই ম্যাচে টানা দু’টি পরাজয় মন খারাপের বিষয়।’ তবে হতাশা কাটিয়ে ফাইনালের আশা মাশরাফির, ‘তবে এখনও ফাইনালে ওঠার সুযোগ রয়েছে। যদি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমরা জিততে পারি, তাহলে ফিফটি ফিফটি সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানের মোকাবেলা করতে পারব। মনে রাখতে হবে যে এখনও আমরা ছিটকে যাইনি। আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করতে হবে। হাতে পুরো একটি দিন আছে।’
ইনজুরির কারণে আসরের প্রথম ম্যাচেই ছিটকে পড়েন দলের সেরা ব্যাটসম্যান এবং বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। তামিমের বদলি হিসেবে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে এনে দিতে পারছেন না ভালো শুরু। যথারীতি ব্যর্থ ওপেনার লিটন দাসও। যে কারণে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকারকে ডেকে পাঠিয়েছে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের এই ম্যাচটি টাইগার ভক্তদের প্রধাণ আগ্রহের বিষয় হয়ে থাকলেও একই সময়ে অনুষ্ঠেয় দিনের অন্য ম্যাচের প্রতিই বিশ্ব ক্রিকেট অনুরাগীদের আগ্রহ থাকবে বেশি। ম্যাচটি যে ক্রিকেটের ক্ল্যাসিকো। সর্বশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত ঐ সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো পাকিস্তান।
এরপর থেকে আইসিসির টুর্নামেন্ট ও এশিয়া কাপই সেই ‘ক্রিকেট ক্ল্যাসিকো’ দেখার একমাত্র মাধ্যম। এশিয়া কাপের ১৪তম এই আসরে দুদলের প্রথম সাক্ষাতে ভারতীয় বোলারদের তোপে ১৬২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে ২৯ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
তবে সুপার ফোরে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করায় দুই দলই রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারও দল ভালো পারফরমেন্স করতে চায় বলে জানান ভারতের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান আম্বাতি রাইডু, ‘গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে আমরা হারিয়েছি। এছাড়া এখন পর্যন্ত এবারের আসরে আমরা সেরা পারফরমেন্স করে চলেছি। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে আবারো জিততে চাই।’
গ্রুপ পর্বে হারলেও সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম-উল-হক, ‘গ্রুপ পর্বে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আমরা ম্যাচ হেরেছি। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে দু’ওপেনার প্যাভিলিয়নে ফিরলে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই কঠিন। যা আমরা ঐ ম্যাচে করতে পারেনি। তবে সুপার ফোরে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে যাচ্ছি আমরা। তাই ঐ ম্যাচে দল ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১৩০বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের জয় ৫৩টি আর পাকিস্তান জিতেছে ৭৩টিতে। ৪টি ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।