পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিস্তার দফায় দফায় ভাঙনে ক্ষত-বিক্ষত রংপুরের গঙ্গাচড়ায় লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রাম। একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, আশ্রয়ণ প্রকল্পও গেছে তিস্তানর গর্ভে। প্রতিদিনই ভাঙছে শংকরদহ চর। স্থানীয়রা জানান, মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম গ্রামটি।
অন্যদিকে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবারো পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েক দিনে এ ভাঙনে বিলীন হয়েছে শত শত বিঘা ফসলি জমি, বাড়িঘর ও মসজিদ। ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। স্থানীয় সূত্র জানায়, গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া দেবগ্রাম ও ছোটভাকলা ইউনিয়নের পদ্মাতীরবর্তী এলাকায় নতুন করে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুরে লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু পেরিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিম দিকে দুর্গম চর শংকরদহ গ্রাম। নতুনভাবে নির্মিত শংকরদহ আদর্শ গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্যায় ধসে গেছে। চলাচলের একমাত্র বাহন নৌকা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে তিস্তার ভাঙন। এরই মধ্যে গ্রামের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শংকরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। প্রবল স্রোতের কারণে লোকজন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। শংকরদহ আশ্রয়ণ কেন্দ্রটিসহ পুকুর ও মসজিদের চিহ্নও আর নেই। সব মিলিয়ে ক্ষত-বিক্ষত শংকরদহ গ্রাম। কয়েকদিন স্থায়ী বন্যায় রাস্তাঘাটও ভেঙে গেছে।
শংকরদহের বাসিন্দা তফিজ মিয়া (৬৫) সব হারিয়ে বর্তমানে লালমনিরহাট জেলার কাকিনায় অন্যের জমিতে বসবাস করছেন। একই অবস্থা মোক্তার আলীর। তিনি শংকরদহেই অন্যের জমিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনোরকম মাথা গুঁজে আছেন। একই অবস্থা চর শংকরদহ গ্রামের রুহুল আমিন, অফিজ, মোক্তারসহ শত শত পরিবারের। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মোন্নাফ জানান, গ্রামটিতে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস ছিল। এবারের বন্যাসহ তিস্তার ভাঙনের কারণে ৩০০ পরিবারই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে বাকি পরিবারগুলোও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। কখন যে তাদেরও সব ছেড়ে নিরুদ্দেশের পথে যাত্রা করবে তা ভেবে কূল পাচ্ছে না।
অন্যদিকে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবারো পদ্মায় ভাঙন শুরু হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে পদ্মার পাড়। গত এক সপ্তাহে ভাঙনের তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। তবে গত তিন দিনের ভাঙনে আবারো দিশাহারা হয়ে পড়েছে পদ্মাপারের মানুষ। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রথমে দেবগ্রাম ও ছোটভাকলার পর দৌলতদিয়ায়ও ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, চলতি মাসে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে নদীভাঙনে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে আরো অন্তত দুই হাজার পরিবার।
দৌলতদিয়ার ঢলাপাড়া গ্রামের নদীর কাছে অধিকাংশ বসতভিটা শূন্য পড়ে আছে। অনেকে তাদের বাড়িঘর দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম (৪৫) জানান, তাদের প্রায় ১০ বিঘা জমি ও দুটি টিনের ঘর বিলীন হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।