মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জার্মানির মাটি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন। পাশাপাশি মোদির জন্মদিনে ব্যক্তিগত সৌজন্য দেখিয়ে তাকে টুইটে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
সোমবার ফ্রাঙ্কফুর্টে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় ২০১৯-এর ভোটে সব রাজনৈতিক দলকে এক ছাতার তলায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানান মমতা। এ সময় তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বাড়তি গুরুত্ব পায় আঞ্চলিক দলগুলির তরফে বিজেপিকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলার কথা। ভোটে মানুষের রায় পক্ষে গেলে নিজেদের মধ্যে কথা বলে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া কঠিন হবে না বলেই মনে করছেন মমতা। তার দাবি, তেলের দাম রোজ বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দরও আকাশছোঁয়া। চাকরি নেই। চাষি এবং শ্রমিকরা বিপন্ন। প্রশ্নের মুখে গণতন্ত্র। মমতার কথায়, দলিতদের উপরে আক্রমণের খবর মিলছে রোজ। উত্তরপ্রদেশে সামান্য কারণে খুন হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। ২০১৯ সালে ব্যালট বাক্সে এর জবাব দিতে সাধারণ মানুষ তৈরি হচ্ছেন বলে তাঁর দাবি। আর এই সূত্রেই সমস্ত দলকে একজোট হওয়ার ডাক। মমতা বলেন, যেখানে যে আঞ্চলিক দলের ক্ষমতা ও প্রভাব বেশি, সেখানে তাদের কাজ হবে বিজেপিকে কড়া প্রতিদ্ব›িদ্বতায় ফেলা। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সে বরং পরে নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঠিক করা যাবে। তবে মমতার দাবি, এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বাংলা। এর আগেও বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরির প্রসঙ্গে এ কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মধ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরির প্রতিজ্ঞা খুঁজে পেয়েছেন অনেকে।
‘২০১৯, বিজেপি ফিনিশ’-এই স্লোগান মনে করিয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ প্রকল্পের যে এত প্রচার, তার সুবিধা আখেরে পান কত জন? বরং তাঁর চালু করা একের পর এক সামাজিক প্রকল্পের কথা বলে দাবি করেন, বিপুল দেনার দায় বয়েও জন্ম থেকে মৃত্যু, জীবনের প্রতি ধাপে মানুষকে কিছুটা আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাঁর সরকার।
সম্প্রতি নিয়মিত বাংলায় এসে মমতার সরকারকেই উপড়ে ফেলার কথা বলছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। মমতার উত্তর, ‘‘আগে দিল্লি সামলানোর ব্যবস্থা করুন। তার পরে বাংলার দিকে তাকানোর কথা ভাববেন।’’ মমতার দাবি, মোদি জমানায় দাম কমছে শুধু মানুষের জীবনেরই। তাই আগামী ভোটে মানুষ বিজেপিকে ‘না’ আর দেশের ডাকে ‘হ্যাঁ’ বলবেন বলেই তাঁর দাবি। আগের বার রাজ্যে বিজেপি দু’টি আসন পেয়েছিল। পরের লোকসভা ভোটে তা-ও পাবে না ভোট ময়দানে এ কথা বহু বার বলেছেন মমতা। এ বার এই চ্যালেঞ্জের সাক্ষী রইল জার্মানিও। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।