নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তামিম ইকবালের হাতে একাধিক চিড় তো আছেই, এক জায়গায় হাড়ই আলগা হয়ে গেছে। আঘাত আছে দুই আঙুলেও। এই অবস্থাতে অসম্ভব সাহস দেখিয়ে সেদিন শেষ দিকে নেমে পড়েছিলেন। দলকে ম্যাচ জেতার জ্বালানি জুগিয়ে ভক্ত সমর্থকদের কাছে হিরোও হয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে এই টুর্নামেন্টে আর খেলা হচ্ছে তামিমের। শুধু তাই নয় কমপক্ষে চার সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকায় তামিমকে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজে পাওয়া নিয়েও থেকে যাচ্ছে শঙ্কা। যা শুরু হবে আগামী মাসের ১৯ তারিখ থেকে।
গত শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই সুরাঙ্গা লাকমালের বলে কব্জিতে চোট পান তামিম। মাঠ থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর পরীক্ষায় চিড় ধরা পড়ে তার। সেই চিড় নিয়েই দলের প্রয়োজনে নেমে এক হাতে এক বল খেলেছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে আবার হাত ঝুলিয়ে রাখতে হয়েছে। তামিমের ছিটকে যাওয়ার খবর এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ইঙ্গিত দিলেন আর খেলার সম্ভাবনা নেই এই ব্যাটসম্যানের।
গতকাল জার্মান হাড় বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তামিম। এ কারণেই এখনো দলের সঙ্গে আছেন ড্যাশিং এই ওপেনার। অথচ তার চোট নিয়ে রাখঢাক করে আসছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। আপাতদৃষ্টিতে এশিয়া কাপে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও রিপোর্ট ছাড়া কথা বলতে চায়নি ম্যানেজমেন্ট। গতকালের রিপোর্ট দেখার পর জানা গেলো চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন তামিম ইকবাল।
ম্যানেজমেন্ট আরও জানিয়েছে, চোটের কারণে আপাতত সার্জারি করতে হচ্ছে না তামিমের। খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘এখানকার চিকিৎসকরা বলেছে সার্জারি লাগবে না। তবে আমরা তামিমের রিপোর্ট অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠাবো। সেখানে পর্যালোচনার পরই বিসিবি তামিমের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’ তামিম ইকবালও জানালেন রিপোর্ট নিয়ে তার প্রতিক্রিয়ার কথা। জানালেন কালকেই দুবাই ছেড়ে দেশে চলে আসবেন, ‘আমি কাল চলে যাবো। সার্জারি লাগবে কিনা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া থেকে রিপোর্ট আসার পর বোঝা যাবে। দু’এক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।’
এশিয়া কাপের উদ্বোধনীতে বাংলাদেশ বিশাল জয় পেলেও ধাক্কা হয়ে এসেছে তামিমের চোট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুরাঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পুল করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে ব্যথা পান তামিম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে অবশ্য দলের প্রয়োজনে ভাঙা কব্জি নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সবার পর। তামিমের এমন অবদানে মুশফিক উপহার দেন ১৪৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস এবং বাংলাদেশ পায় বড় সংগ্রহ।
তামিমকে না পাওয়ায় ওপেনিং নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই তাই ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী হবেন নতুন একজন। জানা গেছে, সেই নামটি নাজমুল হোসেন শান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন জানালেন স্কোয়াডে যথেষ্ট ব্যাকআপ তাদের আছে, ‘আমরা যখন ১৬ জন নিয়ে এসেছি। মুমিনুলকে ওই চিন্তা করেই আনা হয়েছে। তামিম-সাকিবের হালকা চোট ছিল। আমাদের পর্যাপ্ত ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা এখনই বদলির চিন্তা করছি। এরা ভালো খেলবে বিশ্বাস করি।’ তামিম না থাকায় লিটন দাসই আছেন নিয়মিত ওপেনার হিসেবে। শান্ত বা মুমিনুলের কেউই ঘরোয়া পর্যায়ে নিয়মিত ওপেন করতে নামেন না। তবে শান্তকে শুরু থেকেই কোচ ব্যাকআপ ওপেনারের বিবেচনায় রেখেছেন। ওপেন করার কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত করা হয়েছে তাকে। বিকল্প ভাবনায় আছেন মুমিনুলও। সাকিবের চোট না খেলার মতো হলে ওয়ানডাউনেও তিনি ছিলেন বিকল্প। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ড সফরে ওপেন করতে নেমে ১৮২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুমিনুল, তার দলে আসায় ভূমিকা রেখেছিল এই ইনিংস। কিন্তু দলসূত্রের খবর কোচ স্টিভ রোডসের নাকি তরুণ শান্তকেই বেশি মনে ধরেছে।
নিউজিল্যান্ড সফরে ঘটনাচক্রে জাতীয় দলের হয়ে একটা টেস্ট খেলে ফেলেছিলেন শান্ত। আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়নি আর কোনও ফরম্যাটেই। সব ঠিক থাকলে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই হয়ত মাঠে নামতে যাচ্ছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে কোন রান না করে আউট হওয়া ১৩ ওয়ানডে খেলা লিটন তার সঙ্গী হতে পারেন। অনেকদিন পর তাই আনকোরা এক ওপেনিং জুটি নিয়েই নামার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।