নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপে দীর্ঘদিন যাবত একচেটিয়া প্রাধান্য ছিল ক্রিকেট পরাশক্তি ভারতের। এবারো সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে দলটি। তবে প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো যেভাবে উন্নতি করছে, তাতে তাদের এই আধ্যিপত্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে দলটিকে। বিশেষ করে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী পাকিস্তান এই পরীক্ষা নেবে ভারতীয়দের।
১৯৮৪ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত হয় প্রথম এশিয়া কাপ। ওই আসরের শিরোপা জয় করে ভারত। এরপর থেকে ভারত ও শ্রীলংকাই মূলত এই টুর্নামেন্টে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। টুর্নামেন্টের ছয়বার ট্রফি লাভ করেছে ভারত। তন্মধ্যে ৫টি ওয়ানডে এবং একবার টি-২০ ট্রফি। শ্রীলংকা পাঁচবার জয় করেছে এশিয়া কাপের ট্রফি। আর মাত্র দুইবার এই ট্রফি জয় করেছে পাকিস্তান।
তুরুপের তাস বিরাট কোহলি নেই। তারপরও রোহিত শর্মার হাতে এশিয়া কাপের শিরোপা দেখছেন ভারতের অনেক সাবেক ক্রিকেটার। কিন্তু সুনীল গাভাস্কার তা দেখছেন না। ভারতের এই কিংবদন্তি ওপেনার শিরোপা দেখছেন সরফরাজ আহমেদের হাতে!
সোজা কথায়, এশিয়া কাপে এবার গাভাস্কারের ফেবারিট পাকিস্তান। নিজ দেশের চেয়ে এগিয়ে রাখছেন চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী প্রতিবেশী দেশটির দলকে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য় লেখা কলামে গাভাস্কারের যুক্তি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলার অভিজ্ঞতায় পাকিস্তান বাকিদের চেয়ে এগিয়ে। সেখানে আর কোনো দলই তাদের মতো এত বেশি ম্যাচ খেলেনি। শিরোপা লড়াইয়ে এই ব্যাপারটা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে এগিয়ে রাখবে পাকিস্তানকে।
এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত দুইবার শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। ভারত জিতেছে সর্বোচ্চ ছয়বার। রোহিত শর্মাদের এবারের দলটাও বেশি শক্তিশালী। শ্রীলঙ্কার শক্তিও হেলাফেলা করার মতো নয়। কিন্তু আরব আমিরাতে ‘হোম ভেন্যু’র সুবিধা পাওয়ায় পাকিস্তানের ঝুলিতে এশিয়া কাপের তৃতীয় শিরোপা দেখছেন গাভাস্কার। সরফরাজরা শিরোপা জিততে পারলে সেটি পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক অধিনায়ক ইমরান খানের জন্য ‘দারুণ উপহার’ হবে বলেই মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই প্রথম ‘লিটল মাস্টার’।
সংবাদমাধ্যমটিতে লেখা কলামে গাভাস্কারের যুক্তি, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী পাকিস্তান শুরু (এশিয়া কাপ) থেকেই ফেবারিট। তাঁদের দলটা যে ভালো শুধু সে জন্য নয়, সেখানে তাঁরা “হোম গ্রাউন্ড”-এ খেলার সুবিধা পাবে। পরিচিত উইকেট আর কন্ডিশনই এশিয়া কাপ জয়ে এগিয়ে রাখছে পাকিস্তানকে। শিরোপা জিততে পারলে তাদের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জন্য সেটি হবে দারুণ উপহার।’
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দলের কিছু খামতিও দেখছেন গাভাস্কার। দীনেশ চান্ডিমালের অনুপস্থিতি এবং সাকিব আল হাসানের আঙুলের চোট এ দুটি দলকে ভোগাতে পারে বলে মনে করেন তিনি। দুটি দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল থাকলেও বোলিংয়ে তারা কিছুটা পিছিয়ে- এমনটাই মনে করছেন গাভাস্কার, ‘চান্ডিমালকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা বেশ বেকায়দায়। সাকিবকে ঘিরেও অনিশ্চয়তা রয়েছে বাংলাদেশের। দুটি দলেই অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো খেলোয়াড় আছে। আমার মনে হয়, শুকনো উইকেটে তাঁরা সম্ভবত বোলিংয়ে কিছুটা পিছিয়ে। সেখানে বলে তেমন কিছু হয় না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।