নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একেই বলে ভাগ্য! সাফ সুজুকি কাপের গ্রæপ পর্বে দু’ম্যাচ খেলে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়ে টস ভাগ্যে সেমিফাইনালে আসে মালদ্বীপ। শেষ চারে তারা নেপালকে বিধ্বস্ত করে জায়গা পায় ফাইনালে। আর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টুর্নামেন্টের ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে দ্বীপ দেশটি।
গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে মালদ্বীপ ২-১ গোলে ভারতকে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে সেরার খেতাব জিতে নেয়। বিজয়ী দলের হয়ে ইব্রাহিম মাহুদি ও আলী ফাসির একটি করে গোল করেন। ভারতের সুমিত পাসী এক গোল শোধ দেন।
এবারের সাফে মূল জাতীয় দল না নিয়ে আসলেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভারতীয়রা ঠিকই নিজেদের শক্তিমত্তা বজায় রাখে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগ পর্যন্ত তারা দোর্দন্ড প্রতাপে খেলেছে। ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে মালদ্বীপকে হারায় ভারত। আর সেমিফাইনালে চিরশত্রæ পাকিস্তানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা পায় তারা। শক্তির বিচারে ভারত এবার ফেভারিট থাকলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। টানা দ্বিতীয় শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে ব্যর্থ হলো তারা। অন্যদিকে বলা যায়, অনেকটা ভাগ্যের সহায়তা নিয়েই সেমিফাইনাল পর্যন্ত আসে মালদ্বীপ। গ্রæপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করে এবারের সাফ মিশন শুরু হয় তাদের। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে তারা ভারতের কাছে ২-০ গোলে হারলেও টসভাগ্যে লঙ্কানদের পেছনে ফেলে শেষ চারে জায়গা পায়। আর সেমিতে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে বাজিমাত করে দ্বীপ দেশটি।
২০০৮ সালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে সাফের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছিলো মালদ্বীপ। পরের বছর ভারতের কাছে টাইব্রেকারে ১-৩ গোলে হেরে মুকুট হারিয়েছিল তারা। এবার সেই ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েই দশ বছর পর আবার সাফের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো কোচ পিটার সেগার্ডের শিষ্যরা।
কাল সাফ সুজুকি কাপের ফাইনালে শুরু থেকেই আক্রমণাতœক ফুটবল উপহার দেয় মালদ্বীপ। ভারতও লড়ে সমান তালেই। ম্যাচের প্রথম সুযোগও তারাই। তবে ৯ মিনিটে মানভির সিংয়ের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া হয়না ভারতের। ১৯ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় মালদ্বীপ। এসময় হাসান নাইজের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে ভারতীয় গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে জাল কাঁপান মিডফিল্ডার ইব্রাহিম (১-০)। পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া ভারত ৩০ মিনিটে সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করে। বাঁ দিক থেকে আশিক কুরুনিয়ানের বাড়ানো ক্রসে ছোট ডি-বক্সের ভেতরে থাকা ফারুক হাজি ঠিক মতো শট নিতে পারেননি। একটু পর ডান দিক থেকে মানভিরের শট বাইরে চলে যায়। ৪২ মিনিটে আলী ফাসিরের ফ্রি-কিক ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি মালদ্বীপের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মানভিরের শট সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় ভারত। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান বাড়ায় মালদ্বীপ। এসময় হামজা মোহাম্মদের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভারতের আগুয়ান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে আলতো টোকায় গোল করেন আলী ফাসির (২-০)। ম্যাচের শেষ দিকে ব্যবধান বাড়াতে ভারতের রক্ষণদূর্গে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আর গোল পায়নি মালদ্বীপ। উল্টো ম্যাচের যোগকরা সময়ে (৯০+২ মিনিট) একটি গোল হজম করে তারা। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে গোলটি করেন ভারতীয় ফরোয়ার্ড সুমিত পাসী (১-২)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় ভারতকে।
সাফে ১২ বারের মোকাবেলায় ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় জয় পেলো মালদ্বীপ। ৮ জয় ভারতের। বাকি এক ম্যাচ ড্র হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।