Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেন বয়কট করছেন জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রেসিডেন্ট এবং তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার দল জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন সিভিক বডি নির্বাচন বয়কট করবে যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকার আশ্বাস দেয় যে আর্টিকেল ৩৫এ রক্ষা করা হবে। তিন দিন পর, নিজের অবস্থানকে আরও সংহত করেছেন তিনি এবং ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং রাজ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোরও হুমকি দিয়েছেন। পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি) ১০ সেপ্টেম্বর তাদের রাজনৈতিক শত্রুর পথ অনুসরণ করে এবং দলের প্রধান সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও নির্বাচন থেকে দূরে থাকার ঘোষণা দেন। অনেকেই মনে করছেন, উপত্যকার মানুষদের মধ্যে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, এ অবস্থায় তাদের পাশে থাকার জন্যই এ ধরনের চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের বিশ্বাস এতে তাদের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে যেখানে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো উপত্যকায় আস্থার সঙ্কটে ভুগছে, বিশেষ করে ২০১৬ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আঞ্চলিক এ দলগুলোর দাবির ব্যাপারে কোন ধরনের আশ্বাস দিতে অস্বীকার করেছে এবং নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ফলে অস্থির কাশ্মীরে মূলধারার রাজনীতির দিক থেকে বড় একটা আঘাত আসতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপির মতো আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তিগুলো মূলত দুটো বিষয়ের মধ্যে নিজেদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ রেখেছিল- সঙ্কট সমাধানের জন্য পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সংলাপ এবং ভারতীয় ইউনিয়নের মধ্যে রাজ্যের বিশেষ অবস্থান এবং এর অনন্য পরিচয়কে ধরে রাখা। কংগ্রেস তাদের দশ বছরের শাসনামলে এবং পরে বিজেপি তাদের শাসনামলে নিজেদের রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনা করে সংলাপের ব্যাপারে প্রচেষ্টা এড়িয়ে গেছে, যেখানে রাজ্যের স্থানীয় শক্তিগুলোকে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখেছে। এখন রাজ্যের পরিচয়ের উপর যে আঘাত এসেছে সেটা আর্টিকেল ৩৭০ বা আর্টিকেল ৩৫এ-যে ফর্মেই হোক না কেন; অথবা ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর অজিত দোভাল স¤প্রতি যে মন্তব্য করেছেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান স্বাভাবিক রীতির পরিপন্থী- এই সব কারণে এই রাজনৈতিক দলগুলো বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। কার্যত তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে গেছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এই রাজনৈতিক দলগুলো কেন্দ্রের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আর্টিকেল ৩৫এ’র বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার কারণেই এই প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাদের বয়কটের সিদ্ধান্তকে কাশ্মীরের রাজনীতির জন্য বাঁক বদলের মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন। কারণ এই রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে অতীতে দিল্লীর প্রতিনিধিত্ব করার অভিযোগ উঠেছিল। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ