পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিন দশকে আঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হলেও চলতি বছর সরল হওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে
৫১ বছরে পদ্মা নদীর ভাঙনে ৬৬ হাজার হেক্টরের (২৫৬ বর্গমাইল) বেশি পরিমাণ জমি বিলীন হয়ে গেছে। ১৯৬৭ থেকে চলতি বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত নদী ভাঙনের এ হিসাব জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা নাসা। নাসার প্রতিবেদন বলছে, গত তিন দশকে সরু ও সরল গতিপথের জায়গায় পদ্মা নদী তুলনামূলক স্ফীত এবং আঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হয়েছে। চলতি বছর তা আবার সরল হয়ে উঠছে। এতে করে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
নাসাভিত্তিক অনলাইন গণমাধ্যম ‘নাসা আর্থ অবজারভেটরি’তে গত আগস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙনের দুটি প্রধান কারণ আছে বলে জানা যায়। প্রথমটি প্রাকৃতিক। কারণ এটি মুক্তপ্রবাহের নদী। ভাঙন ঠেকাতে তীর ঘেঁষে অনিয়মিতভাবে বালুর বস্তা ব্যবহার করা হলেও যথাযথ পদক্ষেপ নেই। দ্বিতীয় কারণটি হলো, এ নদীর তীরবর্তী এলাকা বালুমাটির, যা খুব সহজেই ভাঙনের শিকার হয়।
স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবির মাধ্যমে পদ্মার আকৃতি, প্রস্থ, গভীরতা সব আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা পদ্মার ভাঙন বিষয়ে কাজ করেছেন। নাসার প্রতিবেদনটিতে স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্র অনুসারে ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত পদ্মার আকৃতি ও দুই পাড়ের ব্যপ্তি পর্যবেক্ষণ করে নদী ‘ভাঙনের প্রকৃতি’ বিষয়ে তথ্য তুলে আনা হয়।
নাসার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, ছবিতে প্রত্যেক বাঁক আলাদাভাবে পদ্মা নদীর ভৌগোলিক ইতিহাসের গল্প বলে। সব ছবি সংগ্রহ করা হয় এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির শুষ্ক মৌসুমে, নাসার ভূমি পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সেগুলো সংগ্রহ করা হয়।
গবেষকরা দেখেছেন, ১৯৮৮ সালের পর পদ্মা নদীর গতিপথ আগেকার চেয়ে বেশি সর্পিল। এ ধরনের নদী সাপের মতো আঁকাবাঁকা হয়ে ইংরেজি ‘এস’ বর্ণের মতো আকৃতি নেয়। এরকম নদীগুলো নিজের বেঁধ (প্রস্থ) বাড়াতে স্রোতকে তীরের দিকে প্রবাহিত করতে থাকে। একই সঙ্গে নদীর ভেতরের অংশে স্রোতের শক্তি কম থাকা তা প্রচুর পলি ধারণ করতে পারে।
স্যাটেলাইটের ছবি বলছে, গত তিন দশকে সরু ও সরল গতিপথের জায়গায় পদ্মা নদী তুলনামূলক স্ফীত এবং আঁকাবাঁকা গতিপথে প্রবাহিত হয়েছে। চলতি বছর তা আবার সরল হয়ে উঠছে। এতে করে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।