Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উজানের ঢলে তিস্তার চরাঞ্চল প্লাবিত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৪:০২ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী-তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ১১টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন প্রকৌশলী জানান, ভারতের গজলডোবার দোমহনী পয়েন্টে তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সোমবার রাত থেকে ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে নদীর পানির প্রবল স্রোতের কারণে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোয় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে কাউনিয়া উপজেলার চর ঢুসমারা, চর গনাই, তালুকশাহবাজ, বিশ্বনাথ, টাপুর চর, হয়বৎ খাঁ, হরিচরণশর্মা, তালুক সাহাবাজ, আরাজিকানুয়া, পাঞ্চরভাঙ্গাসহ নদী-তীরবর্তী বেশ কয়েকটি চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী জানান, তার ইউনিয়নের ঢুসমারা, আরাজি হরিশ্বর, গোপীডাঙ্গা, পাঞ্চরভাঙ্গা, গদাই, তালুকসাহাবাজ, নিজপাড়া, হরিশ্বর গ্রামসহ নদী-তীরবর্তী গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এরই মধ্যে গ্রামের অনেকেই গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি উঁচু স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। আবার অনেকেই নদীভাঙনের ভয়ে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
টেপামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তার ইউনিয়নের চারটি গ্রামের অন্তত ৩৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ