পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ এ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ বিলম্ব হতে পারে। পুরো কাজ সম্পন্ন করে যানচলাচল শুরু হতে ২০২২ সাল লেগে যেতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছে চীনা প্রকৌশলীরা। বিবিসি বাংলার অনলাইনে গত রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আবুল কালাম আজাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পদ্মা নদীর জাজিরা প্রান্তে ৫টি স্প্যান বসানোয় বর্তমানে মূল সেতুর মাত্র ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। কিন্তু ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে এখনো বহু কাজ বাকি। পদ্মার মাওয়া প্রান্তে শুধু চারটি পিয়ার বসেছে। এ অংশে কোনো স্প্যান বসেনি। আর নদীর মূল চ্যানেলে ৭টি পিয়ারের নকশা এখনো দেয়া হয়নি।
পদ্মাসেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা হয় সেতু প্রকল্পে কর্মরত দু’জন চীনা প্রকৌশলীর সঙ্গে। তাদের পরিচয় জানতে পেরে বললাম, এ সেতুর ওপর দিয়ে কবে যানচলাচল শুরু হবে এটি জানার আগ্রহ বাংলাদেশের বহু মানুষের। চায়না মেজর ব্রিজের দুই প্রকৌশলী বলে দিলেন ২০২২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। এত সময় কেন প্রয়োজন জানতে চাইলে এদের একজন পিয়ে সিউ বলেন, ‘আমরা দু’হাজার বাইশ সালের ধারণা দিচ্ছি বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায়। এখনো অনেক কাজ করার বাকি আছে’।
পিয়ে সিউ এমবিসি-৫ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার। মূল সেতুর দুই পাশের ভায়াডাক্ট এবং মূল সেতুর ওপরের স্প্যান বসানোর দায়িত্ব এমবিসি-৫ এর।
মি. সিউ জাজিরা অংশে স্থাপিত সেতুর স্প্যান দেখিয়ে বলেন, ‘এই যে স্টিলের কাঠামো এটা একটার পর একটা নিখুঁতভাবে বসাতে হবে। এতে সময় লাগে, বেশ খানিকটা সময়। আর এখনো আমরা ৭টি পিয়ারের চূড়ান্ত ডিজাইন পাইনি। আমি এখন নকশার জন্য অপেক্ষায় আছি। নকশা হাতে পেলেই আমি তোমাকে বলতে পারবো ঠিক কবে এর নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে’।
এমবিসি-৫ এর প্রধান প্রকৌশলী মি হু বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমরা বলতে পারছি না সেতু নির্মাণ শেষ হতে ঠিক কত অতিরিক্ত সময় দরকার। কারণ এর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত’।
সেতু নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল হক বলেন, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নদী শাসনের আর প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ।
আর কতদিন অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে এ প্রশ্নে মি. ইসলাম বলেন, ‘কন্ট্রাক্টর দুই বছরেরও বেশি চেয়েছে। এত টাইম তো দেয়া যাবে না। আমরা মনে করি তারা অনেক বেশি সময় চেয়েছে। আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। আমরা এ মাসের মধ্যেই জানিয়ে দেব যে, আসলে কতদিন অতিরিক্ত সময় দেয়া যায়’।
প্রকল্প পরিচালক জানান, পদ্মার মূল চ্যানেলে পাইল বসানো শুরুর পর যে সমস্যা দেখা গিয়েছিল সেটি সমাধান কীভাবে হবে সে নকশা মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষাও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
‘কাজ পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ যে আমরা সবগুলো ডিজাইন দিতে পারি নাই। আমাদের মেইন ব্রিজের ৪০টা পিয়ার ছিল আমরা এর সবগুলো দিতে পারি নাই। আমাদের ডিজাইনার খুবই সতর্ক। কারণ এখানে এমন কিছু কাজ হচ্ছে যেটা অতীতে কোথাও কখনো হয়নি। বিশ্বের অনেকে এই কাজটা পর্যবেক্ষণ করছে’।
তবে চীনা প্রকৌশলীরা যে তিনবছর অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন বলে ধারণা করছেন পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক এর সঙ্গে একমত নন। আর পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য জানান সমস্যা যেটা ছিল সেটি সমাধানের পথ পাওয়া গেছে। ডিজাইন দেয়ার পর কাজের গতি বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।