মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এমনিতেই ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ চলছে। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এক ঘোষণায় এমন পরিস্থিতি আরো উত্তেজনাকর হয়ে উঠতে পারে। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, চীনা ২৬৭০০ কোটি ডলারের আমদানি পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ককর আরোপের জন্য প্রস্তুত। তার এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায় ও ক্রেতাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। বেড়ে যাবে চীনা পণ্যের দাম। সঙ্গে সঙ্গে চীনও পাল্টা হুমকি দিয়েছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ৬০০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর তারাও বাড়তি শুল্ক আরোপ করবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তি এই শুল্কহার প্রয়োগ করা হবে সব পণ্যের ওপর। হাত ব্যাগ থেকে শুরু করে বাইসাইকেলের টায়ার পর্যন্ত সব কিছুর ওপর। এরই মধ্যে চীনা পণ্য আমদানি খাতে ৫০০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে বেইজিংও। তারাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর সমান হারে শুল্ক প্রয়োগ করেছে। চীনের ভূমিকা এক্ষেত্রে ঢিলটি দিলে পাল্টা ঢিল খেতে হবে। এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে সাংবাদিকদেরকে ট্রাম্প বলেন, এটা বলতে আমি ঘৃণা করি। তবু বলতে হচ্ছে যে, যদি আমি চাই তাহলে অল্প সময়ের নোটিশে আরো ২৬৭০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক প্রয়োগের জন্য প্রস্তত (আমরা)। এতে পুরোপুরি পাল্টে যাবে সমীকরণ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুটি অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প। এতে বড় রকমের উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে চীনও পাল্টা কৌশল অবলম্বন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে সাইবার হামলা। এর মধ্য দিয়ে প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র যে শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থানে রয়েছে তাকে অতিক্রম করতে চায় চীন। এপি আরো লিখেছে, চীনা অর্থনীতির সঙ্গে অসম বাণিজ্যের ফারাক কমিয়ে সমতা আনতে চান ট্রাম্প। তিনি বিশ্বাস করেন, এই বাণিজ্য ঘাতটি কমানো গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ মাত্রায় মুল্যাস্ফীতি দেখা দিতে পারে। চীনা পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর হুমকিতে প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বাণিজ্যপাড়া ওয়াল স্ট্রিটে। সেখানে দরপতন ঘটেছে বেশির ভাগ কোম্পানিগুলোতে। উদ্বেগজনকভাবে দরপতন ঘটেছে। উল্লেখ্য, চীনের ২০০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর সরকার শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করবে বলে বিষয়টি প্রস্তাবিত ছিল। এ নিয়ে জনগণ নানা রকম মন্তব্য করেছেন। তার একদিন পর শুক্রবার ট্রাম্প ওই ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওইসব আমদানিতে খুব তাড়াতাড়িই তার প্রশাসন শুল্ক আরোপ করবে। সঙ্গে সঙ্গে চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তারা বলেছে, সমান ও পাল্টা পদক্ষেপ তারাও নেবে। তারা যুক্তাষ্ট্রের ৬০০০ কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক বসাবে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।