Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতন ধর্ষণে বিশ্বমুসলিম ক্ষুব্ধ -প্রিন্সিপাল সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৬:০৫ পিএম | আপডেট : ৭:১৯ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মুসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, চীন সরকার কর্তৃক উইঘুর মুসলমানদের বন্দী করে নিপীড়ন-নির্যাতন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি ধ্বংস, লুটপাট ও বিতাড়ন মুসলমান ও বিশ^বাসীকে ব্যথিত ও মর্মাহত করছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো মুসলিম ও বিশ্বাবসীর মানবিক দায়িত্ব। চীন যদি বন্দী মুসলমানদের মুক্তি না দেয় তাহলে মুসলিম বিশ্বে চীনের সকল পণ্য বর্জনের কর্মসুচি আসতে হবে। তিনি দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন, হত্যা বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মুকাররম উত্তর গেইটে চীনের উইঘুর মুসলমানদের বন্দী ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শ্রমিকনেতা মাওলানা খলিলুর রহমান, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাও. ছিদ্দিকুর রহমান, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মাছউদুর রহমান, মাওলানা এইচএম সাইফুল ইসলাম। সভায় উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম নাঈম, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, প্রকৌশলী মুহা: গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, ডা. মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় গোলামী কমিশনে পরিণত হয়েছে। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হবে। এই সময়ে ইসি কেন বা কার স্বার্থে ইভিএম নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, টাকার বিনিময়ে উখিয়া-টেকনাফের সরকারি বনভূমিতে ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া এখন প্রভাবশালীদের নিয়মিত বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। বিদেশি এনজিও’র পক্ষ থেকে পাহাড়ি বনভূমি দখল করে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার পেছনে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসব বাণিজ্য বন্ধ না করলে দেশপ্রেমিক ইসলামী জনতা নিরবে বসে থাকবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উইঘুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ