পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিদিন সড়কে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। এ ধারা যেন আর থামছে না। গতকাল সোমবারও সড়ক দুর্ঘটনায় সাভার ৩ ও নোয়াখালীতে ২, লালমনিরহাট ও গাজীপুরে একজন করে মোট সাত জন নিহত হয়েছেন। এ সকল ঘটনায় আহত হয় অর্ধশতাধিক। আহতদের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন :
সেনবাগ(নোয়াখালী)উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনবাগ রাস্তার মাথা নামক স্থানে গতকাল সোমবার পিকআপ ও সিএনজি চালিত অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও ছেলে নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের অপর দুই জনসহ আহত হয়েছে আরো ৫ জন। নিহতরা হচ্ছেন সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের প্রবাসী ঈমান আলী খানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬০) ও ছেলে কুয়েত প্রবাসী মোহন খান (৩৫)। আহতরা হচ্ছেঃ নিহত মোহনের স্ত্রী বিবি মর্জিনা শিমু (২৬) ও ছেলে মিরন খান (৭) দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামের ছিদ্দিক উল্লার ছেলে সিএনজি চালক আবু তাহের (২৫) ডমুরুয়া গ্রামের পিকআপ আরোহী মাসুদ(৩৫) ও চালক অজ্ঞাত (৪০)। তাদেরকে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে সেনবাগ থানা পুলিশ ও বেগমগঞ্জ এবং সোনাইমুড়ি দমকল বাহিনীর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। তবে, এর আগেই হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে মোহন ঘটনাস্থলে এবং ফিরোজা বেগম সেনবাগ হাসপাতালে মারা যায়। স্থানীয়রা জানায়, সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফার্নিচার বহনকারী একটি হলুদ পিকআপ নং ঢাকা মেট্টো নং-১৫-৪৫৮৬ এর সঙ্গে সেনবাগ উপজেলার ছমির মুন্সিরহাট বাজার থেকে ছেড়ে আসা নাম্বার বিহীন একটি সিএনজি চালিত অটো রিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে সিএনজিটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিন জানান, সকালে উপজেলার কাবিলপুর ইউপির ইয়ারপুর হাবিদার বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ওই স্থানে পৌছলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্টাফ রিপোর্টার সাভার থেকে জানান, সাভারে ট্রাকের পেছনে পিকআপের ধাক্কায় এক প্রকৌশলীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫ জন। গতকাল সোমবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভারের বলিয়ারপুর এসএন সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হচ্ছে- মীর আখতার গ্রুপের প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম (৪৫) পিকআপ চালক খলিলুর রহমান (৫০) ও নুরন্নবী। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী জানান, মীর আখতার গ্রুপের পিকআপে করে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা। । এ সময় তাদের বহনকারী পিকআপটি এসএন সিএনজি পাম্পের সামনে পৌঁছে সামনে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা মির আখতার গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ারসহ ৩ জন নিহত হন।
লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা জানান, আদিতমারীতে ট্রাক-ব্যাটারি চালিত অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে গার্মেন্টস কর্মী আলমগীর হোসেন (১৮) নিহত হয়েছেন। আলমগীর কালীগঞ্জ উপজেলার ডুহুলী এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। গতকাল সোমবার সকালে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের আদিতমারী উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অটোর ৫ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, উপজেলার নামুড়ি বাজার থেকে অটোযোগে লালমনিরহাট যাওয়ার পথে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় বুড়িমারীগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অটোটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এলাকাবাসী দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠান। এদিকে ট্রাক চালকের সহকারী ফাহিম (২০) ও ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ। ফাহিম রংপুর সদর উপজেলার আফজাল হোসেনের ছেলে।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গাজীপুর সিটি কপোরেশনের জিরানী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম নিরাঞ্জন সরকার (৩৫)। তিনি বগুড়ার গাবতলী থানার হাতিবান্ধা এলাকার মলিন সরকারের ছেলে। গত রোববার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাসুদেব সিনহা জানান, রাতে জিরানী এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন নিরাঞ্জন। এ সময় একটি বাস ট্রানিং নেওয়া একটি অ্যাম্বুলেন্সকে ধাক্কা দেয়। তখন অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী নিরাঞ্জনকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়কে বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাস উল্টে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে গেছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কলাপাড়ার রজপাড়া নামক স্থানে অপর একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে স্বর্ণা পরিবহন (ভোলা-জ-১০০-১১) নামের বাসটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা জানান, চালক বেপরোয়া গতিতে পটুয়াখলী থেকে আসছিল। রজপাড়া নামক স্থানে আসার পর অপর একটি বাসকে সাইট দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। বাসে থাকা সবাই কম বেশি আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মো. কামরুজ্জামান জানান, আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি(তদন্ত)মো. আলী আহম্মদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।