নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুয়ারে কড়া নাড়ছে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ দল কোথায় ব্যস্ত থাকবে প্রস্তুতি নিয়ে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে যেখানে সময় দিতে হচ্ছে স্পন্সরের খোঁজে, ঠিক সেই মুহূর্তে মিরপুর উত্তপ্ত অখেলোয়াড়সূলভ আচরণের সালিশ নিয়ে! গত বেশ কিছুদিন থেকেই শেরেবাংলার বিসিবি কার্যালয় কার্যত পরিণত সালিশি কেন্দ্রে। এবার একজন নয়, অভিযুক্ত যে তিনজন! ইনজুরিতে থাকায় ‘আপাতত’ স্বস্তিতে থাকতে পারেন নাসির হোসেন আর ‘ব্যক্তিগত কারণ’ উল্লেখ করে আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষায় মোসাদ্দেক হোসেনের শাস্তি। তবে স্বস্তির বদলে বড় শাস্তির খড়্গই নেমে এসেছে সাব্বির রহমানের উপর। এবার উশৃঙ্খল আচরণের দায়ে এই অলরাউন্ডারকে ৬ মাসের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দেশে ফিরলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সাব্বিরের নিষেধাজ্ঞা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় দু’দিন আগেই। বিসিবি পরিচালকদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি। শৃঙ্খলাভঙ্গের একের পর এক ঘটনার ধারাবাহিকতায় সাব্বিরের ওপর ক্ষুব্ধ বিসিবি প্রধান তাকে তিন বছর নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। এশিয়া কাপের দল থেকে বাদ পড়া ইঙ্গিত দিচ্ছিলো বড় কোন শাস্তির। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের বিশেষ অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ৬ মাসে কমিয়ে আনা হয় বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ডিসিপ্লিনারি কমিটির শুনানিতে সাব্বির কিছু দায় স্বীকার করেছেন বলে জানালেন বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘সে অনুতপ্ত। ভবিষ্যতে এ রকম কিছু করবে না বলে প্রতিজ্ঞা করেছে। অনেক কিছু স্বীকারও করেছে। সে বলেছে হ্যাকড হয়েছিল (ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট)। বাকি কার্যকলাপের বিষয়ে সে কিছু বিষয় স্বীকার করেছে। ওই বিষয়ে তাকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’
অনুতপ্ত অবশ্য সাব্বির আগেও হয়েছেন। শাস্তিও পেয়েছেন। তবে নিজেকে শোধরানোর প্রমাণ রাখতে পারেননি তেমন। ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচে এক কিশোর দর্শককে পেটানোয় গত জানুয়ারিতেই ৬ মাসের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সাব্বিরকে। সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। বাদ দেওয়া হয়েছিল বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। এর আগে ২০১৬ বিপিএলে বড় অঙ্কের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছিল তাকে, বিসিবি তখন অপরাধ সুনির্দিষ্ট করে না জানালেও বলেছিল “গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শাস্তি।” গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের সময় দেরাদুনে ড্রেসিং রুমে বিতÐার এক পর্যায়ে সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজের গায়ে সাব্বির হাত তুলেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছিল। এছাড়াও নানা সময়ে উঠেছে টুকটাক আরও অভিযোগ।
এবারের নিষেধাজ্ঞার পর নিজেকে কতটা বদলাতে পারবেন সাব্বির, সেই প্রসঙ্গ উঠল সংবাদ সম্মেলনে। ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, আবারও এমন কিছু করলে অপেক্ষায় আরও বড় শাস্তি, ‘এতদিন তার শাস্তি ছিলো আর্থিক জরিমানা ও ঘরোয়াতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর চেয়ে বড় শাস্তি হলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি তাকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এ রকম কিছু ঘটলে আরও বড় শাস্তি দেয়া হবে। কেউ নিজেকে শোধরায়, কেউ শোধরায় না। একটা কথা বলতে পারি, বোর্ড সভাপতি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি কঠোর হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’
নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত বলেই এবার এশিয়া কাপের দলে রাখা হয়নি সাব্বিরকে। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ফেব্রæয়ারিতে। এই সময়টায় তিনি বিবেচনার বাইরে থাকবেন দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ ও ফেব্রæয়ারি-মার্চে নিউ জিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ভাগ পর্যন্ত।
ডিসিপ্লিনারি কমিটির এদিন ডেকেছিল এশিয়া কাপের দলে থাকা মোসাদ্দেক হোসেনকেও। ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন বলে কদিন আগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী। তরুণ ব্যাটসম্যান সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, কিছুদিন আগেই ডিভোর্স দিয়েছেন স্ত্রীকে। আপাতত তাকে সতর্ক করেছে বোর্ড। ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করা হয়নি। আদালতের রায়ের পর অবস্থা অনুযায়ী বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে কথা থাকলেও চোটের কারণে এমনিতেই দলের বাইরে থাকা নাসিরকে আপাতত ডাকা হয়নি বলে জানান ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।