পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ার কারণে বার্লিন এই শঙ্কায় রয়েছে যে, এর প্রভাব হয়ত ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তা খুব ভয়ানক ফলাফল ডেকে আনবে। জার্মানির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তুরস্কের অর্থনীতি ধসে পড়ার প্রভাবে এই অঞ্চল, জার্মানি এবং ইউরোপকে অস্থিতিশীলতার মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর বার্লিনের এই উদ্বিগ্নতার কারণে জার্মান সরকার তুরস্ককে জরুরি ভিত্তিতে আর্থিক সহায়তার চিন্তাভাবনা করছে। যদিও উভয় দেশের মধ্যে এধরনের আলোচনা এখনো প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। সেই সাথে সহায়তার করার বিষয়টিও এখনো আশা পর্যায়ে রয়েছে। বার্লিনের সূত্র বলছে, আর্থিক সহায়তার সম্ভাব্যতা এখনো আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। আর তা করা হলে এটি হতে পারে তখনকার সময়ের মত যখন ইউরোপের অর্থনীতির দুঃসময়ে ইউরোজোনের রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্কগুলো প্রকল্প ভিত্তিক সুনির্দিষ্টভাবে লোন প্রদান করেছিল বলে ডবিøউএসজে ডটকম জানায়। এদিকে, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের পেট্রোইট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুরস্কের কাছে বিক্রয়ের ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তুরস্ককে যেকোনো মূল্যে তার আকাশ সীমা নিরাপদ করতে হবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের কর্মকর্তারা আঙ্কারাকে ওয়াশিংটন থেকে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান ক্রয় করতে হলে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় করা হতে বিরত থাকতে হবে- এমনটি জানানোর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু উক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। মেভলুত কাভুসোগলু ‘আমাদের অবশ্যই তুরস্কের আকাশসীমা নিরাপদ করতে হবে। এটা আমাদের জন্য অবশ্য করণীয়। তাদের এটা বুঝা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র কি আমাদের কাছে পেট্রোইট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারবে?’ ২৮ আগস্ট লিথুনিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কাভুসোগলু তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ জঙ্গি বিমান বিক্রয়ের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আইন নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। ‘এফ-৩৫ প্রকল্পে আমরা উভয়ে অংশীদার এবং এর কিছু অংশ তুরস্কের তৈরি’, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধান করার জন্য ‘হুমকির ভাষা পরিত্যাগ করুন’।‘যদি তারা মনে করে রাখাল বালকের ছবির মত করে তারা যা চাইবে তাই পাবে, তবে তারা এর প্রতিক্রিয়া দেখতে পাবে।’-তিনি এমনটি যোগ করেন। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলু বলেন, ‘কংগ্রেসের সদস্যদের তুরস্কে এ সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তাদের ভিন্ন মতামত রয়েছে, ভিন্ন বিশ্বাস রয়েছেৃএবং অবশ্যই কংগ্রেসের এমন অনেক সদস্য রয়েছেন যাদের কাছে তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে শক্তিশালী করা গুরুপূর্ণ।’ ‘রাশিয়ার সাথে আমাদের সম্পর্ক লিথুনিয়ার সাথে বা ইউরোপের সাথে বা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের জন্য কোনো বিকল্প নয়। এই অঞ্চলে তুরস্ক সঠিকভাবেই তার পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখতে পারে।’ ডব্লিউএসজে ডটকম, হুররিয়াত ডেইলি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।