বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
গতকাল সোমবার দিনগত গভীর রাতে পাথালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পানধোয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. কামরুজ্জামানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রোকসানা আক্তার জানান, রাত দুইটার দিকে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত রামদা, চাপাতি, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হানা দেয়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা নিচতলার ভাড়াটিয়া গার্মেন্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি স্থানীয়দের জানালে রাতেই স্থানীয় পূর্ব পানধোয়া বাজার জামে মসজিদে মাইকিং করা হয়। মাইকিং শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ডালিয়া আক্তার বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে আমার স্বামী দেশের বাইরে থাকায় রাতে শাশুরি, দুই মেয়ে ও ভাতিজাকে নিয়ে বাসায় ছিলাম। রাত ২টার দিকে স্থানীয় আমবাগান মহল্লার আব্দুল জলিল, আব্দুস সালাম, রেজ্জাক, মারুফ, অঙ্কুর, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও সিরাজুল ইসলাম শিরুসহ ১৫-২০ জনের ডাকাত দল প্রথমে আমার ঘরের কাঁচ ভাঙে। এরপর তারা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমাদের জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা, ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ল্যাপটপ, চারটি মোবাইলসহ প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ডালিয়ার শাশুরি জহুরুন্নেছা বলেন, ১৫-২০ জন ডাকাতদল আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমাদেরকে মারধরও করে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, পানধোয়া এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম শিরু প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। সে এলাকার বিভিন্ন মানুষের জমি জাল-জালিয়াতি করে জমি দখল করে থাকে। তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেই রাতের আঁধারে লোকজন নিয়ে মানুষের বাড়িতে ডাকাতি ও লুটপাট করে থাকে। কিছুদিন আগে পানধোয়া বাজারে চাঁদার দাবিতে স্বর্ণের দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনার সঙ্গেও এ চক্রটিই জড়িত।
অভিযোগের বিষয়ে আব্দুস সালাম বলেন, ডাকাতির কোন বিষয় ঘটেনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হয়তো হামলা হতে পারে। আমি সেখানে ছিলাম না। তারা নিজেরাই বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় রাতের আধাঁরে তারা নিজেরাই বাড়িঘরে ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
আশুলিয়া থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, ডাকাতির কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। তবে ওই এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।