Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শক্তিশালী ড্রোন বাহিনী চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

এবার শত্রুর ওপর নজরদারি চালাতে শক্তিশালী ড্রোন বাহিনী তৈরি করেছে চীন! শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে প্রথম থেকেই সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে নজর দিয়েছে চীন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্রমাগত দেশের স্থল, আকাশ ও সমুদ্র পথ ব্যাপক উন্নত করেছে বেইজিং। আন্তর্জাতিক বিশ্বে নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে ২০২০-এর মধ্যে মহাকাশেও আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে ড্রাগনের দেশ। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্র। সংবাদপত্রটি খবর প্রকাশ করে বলছে, শত্রুপক্ষের ওপরে নজরদারিতে হয়ত একটি সম্পূর্ণ ড্রোন বাহিনী তৈরি করে ফেলেছে চীন। অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ভারতকে। প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে একটি তালিকা। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, চীনা সেনার কোন বাহিনীতে ইতিমধ্যে স্থান পেয়েছে কোন কোন অত্যাধুনিক ড্রোন বা আন আর্মড ভেহিক্যাল (ইউএভি) এবং তাদের শক্তি কতটা। প্রথমেই আসা যাক এএসএন সিরিজ প্রসঙ্গে। এখানে মূলত চীনা সেনার সশস্ত্র বাহিনী এই ড্রোন ব্যবহার করে থাকে। অন্যান্য আন আর্মড ভেহিক্যালের মতো দেখতে হলেও। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অনেক দূর থেকে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে এই মানববিহীন উড়ন্ত যানের। এর পর চ্যানবিং সম্পর্কে জানা যায়, চীনা নৌ-বাহিনীর হাতে থাকা অন্যতম অত্যাধুনিক ড্রোন এটি। ২৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর উপরে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই উড়ন্ত যান। একটানা ৪০ ঘণ্টা কোনও রিচার্জ ছাড়াই আকাশে চক্কর কাটতে সক্ষম এটি। সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে পূর্ব চীন সাগরে নজরদারির জন্য এই যানের উপরে ভরসা রেখেছে বেইজিং। তারপর আসে সিলভার ঈগল প্রসঙ্গে। চীনা নৌবাহিনীর অস্ত্রাগারে থাকে আরও একটি মারণাস্ত্র হল এই মানববিহীন যান সিলভার ঈগল। ২০১১ থেকে এটি ব্যবহার করেছে চীন। এতে রয়েছে ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক সিস্টেম। এছাড়া বহুদূরে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এবং ২০০ কিলোমিটার দূর থেকে নজরদারি চালাতে সক্ষম এই যানটি। এর পরে বলা যায় গগজির কথা। মার্কিন প্রেডেটর ড্রোনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম চীনা মানববিহীন এই উড়ন্ত যানটি। এটির পাল্লা চার হাজার কিলোমিটার। দশ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই ড্রোন। আকাশ থেকে মাটিতে হামলার সময় এর সাহায্য নিয়ে থাকে বিমান সেনা। সোয়ারিং ড্রাগন ভারতের সঙ্গে চলা ৭৩ দিনের ডোকলাম সমস্যার সময় ব্যবহার করে চীন। বিতর্কিত ডোকলামের উপরে এই ড্রোনের সাহায্যেই নজরদারি চালায় চীনের বিমানবাহিনী। একসঙ্গে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় এই ড্রোন। কারণ এরমধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও প্রবল ক্ষমতাসম্পন্ন মেমরি সিস্টেম। সবশেষে বলা যায় ইএ-০৩-এর কথা। স্থল ও সমুদ্রে যেকোনও পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি রাখতে সক্ষম এই ড্রোন। মূলত দক্ষিণ চীন সাগরে শত্রুপক্ষের উপরে নজরদারি চালাতে এর সাহায্য নিয়ে থাকে বেইজিং। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।



 

Show all comments
  • আকাশ ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১০:১৩ এএম says : 0
    সামরিক শক্তিতেও ওরা এগিয়ে যাচ্ছে............
    Total Reply(0) Reply
  • অর্ণব ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ৯:১৯ পিএম says : 0
    চীনকে চতুর্দিক থেকে কোণঠাসা করতে মরিয়া আমেরিকা ও তার মিত্ররা। চীন এখন কঠিন শত্রুর কবলে। তাই চীন শুধু অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে একা শক্তিশালী হলে চলবে না। তার উচিত আমেরিকার মত শক্তিশালী বন্ধু দেশ তৈরী করা। বিশেষ করে চীনের উচিত পাকিস্তান, ইরান ও তুরস্ককে অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে শক্তিশালী করা। মুসলিম বিদ্বেষী তুচ্ছ মনোভাব চীনকে অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। মনে রাখতে হবে চীন যদি আমেরিকা ও মিত্রদের দ্বারা সামরিক হামলার স্বীকার হয়, তবে পৃথিবীতে পাকিস্তানই এক মাত্র দেশ, যারা চীনের জন্য সরাসরি যুদ্ধ করবে। তাই চীনের অবশ্যই উচিত পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক দিয়ে বিশ্বের একটি পরাশক্তিতে রুপান্তরিত করা চীন-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব হতে হবে আত্মার। বাস্তবে তা আছে কি ?? তাহলে অর্থনৈতিক, সামরিক, প্রযুক্তি ইত্যাদি বিবেচনায় চীন -পাকিস্তানের সাথে আকাশ-পাতাল ব্যবধান কেন ?? চীনের বোঝা উচিত পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির উপর নির্ভর করে চীনের স্বর্বভৌমত্ব। তাই পাকিস্তানকে নিছক মুসলিম দেশ বলে অবজ্ঞা করা ঠিক নয়। পররাষ্ট্রনীতির চালবাজি, কটনৈতিক দূরদৃষ্টিতে চীন আমেরিকার তুলনায় এখনও অনেক কাচা। চীনের শত্রুরা চায় চীনের সাথে একটা স্বল্প বা মাঝারি ধরনের যুদ্ধ করে চীনকে বশীভুত করতে, যা চীনের জন্য চরম অশুভ সংকেত। আমেরিকা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র মনে না করে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে ভারতকে অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে শক্তিশালী করে চলছে নিজের স্বার্থ। তাই চীনেরও উচিত পাকিস্তানকে মুসলিম রাষ্ট্র মনে না করে বন্ধু রাষ্ট্র মনে করে ভারতের মত পাকিস্তানকেও অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে সমান শক্তিশালী করা। এটা চীনের জন্য মঙ্গল হবে।।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ