Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নাটোরে নিয়ন্ত্রণহীন বাসের ধাক্কায় সড়কে ঝরল ১৫ প্রাণ

বিভিন্ন স্থানে ৭ জনসহ নিহত ২০ : আহত দেড় শতাধিক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না সড়কে প্রাণঘাতী মৃত্যু। ফাঁকা সড়ক, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আর বেপোয়ারা গতির কারণে সড়কে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর লাইন। গতকাল নাটোরে বড়াইগ্রাম উপজেলার বিকেল ৪টার দিকে পাবনা থেকে রাজশাহীগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বনপাড়া থেকে ঈশ্বরদীগামী লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনের লাশ উদ্ধার করে। আহতদের হাসপাতালে নেয়ার পর তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত অপর ২৭ জন চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদের ছুটিতে মহাসড়ক ফাঁকা পেয়ে বাসচালকদের দ্রুতগতিতে চালানোর প্রবণতা থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে ছিটকে খাদে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে ঘটনাস্থলে বাসের ২ যাত্রী, কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের বাসের ধাক্কায় এক সিএনজিযাত্রী, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সড়ক দুঘর্টনায় মসজিদের মোয়াজ্জিন, ফরিদপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ও মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের আলমখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক যুবকসহ ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। আহতদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে ১৭ জন, ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে পিকনিকের মিনিবাস উল্টে ৫০ ও কুমিল্লায় ৫০ জন। আমাদের সংবাদদাতাতের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন :
মোঃ আজিজুল হক টুকু নাটোর থেকে জানান, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার নাটোর-পাবনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ১২ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর একজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জনই লেগুনার যাত্রী। একজন বাসের যাত্রীবলে জানা গেছে। এছাড়াও বাসের ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাৎক্ষণিক হতাহতদের নামপরিচয় জানা যায়নি। তবে নিহতের অধিকাংশই নাটোর ও পাবনা জেলার বাসিন্দা। সংবাদ পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ও নাটোর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে। আহতদের স্থানীয় বনপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, আমেনা ক্লিনিক, পাটোয়ারি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক শিশুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিকেলে পাবনা থেকে যাত্রী নিয়ে চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস বগুড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। আর লেগুনাটি পাবনা থেকে বনপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে লালপুর সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লেগুনার পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১৩ জন নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৫ পুরুষ, ৬ নারী ও ২ শিশু রয়েছে। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শাসছুন নূর ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানান।
মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল চান্দিনা থেকে জানান, গতকাল শনিবার শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহীবাস দিনাজপুর থেকে চট্রগ্রাম যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার জিংলাতলী নামক স্থানে গাড়ীটি পৌছলে একই দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেটকার (প্লাস্টিক) কে ওভারটেকিং করছিলেন শ্যামলী পরিবহনের বাসটি। যখন দুইটি গাড়ী সমানে সমান ঠিক এমন সময় শ্যামলী পরিবহনের হেলপার চালককে উদ্দেশ্য করে বলছিলেন ওস্তাদ আস্তে চলুন, বামে প্লাস্টিক ...! শ্যামলীর চালক গাড়ির গতি না কমিয়ে গাড়ীর আরো গতি বাড়িয়ে দিয়ে প্রাইভেটকারটি ওভারটেকিং করতে গিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে ছিটকিয়ে খাদে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে ওই বাসের ২ যাত্রী নিহত হন। নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ইয়াছিন মিয়া ও বগুড়ার সোনাতলা এলাকার জামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় বাসের অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। পরে দাউদকান্দির ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট ও দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল কাদের জিলানী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঈদের ছুটিতে মহাসড়ক ফাঁকা পেয়ে দ্রæতগতিতে চালাতে গিয়ে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী আহত জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শ্যমলী পরিবহনের বাসটির চালক গাড়ীর গতি ১০০-১১০ চালাছিলেন। ওই সময় গাড়ীর যাত্রীদের কেউ কেউ চালকে আস্তে চালাতে বললেও এতে কোন পাওাই দেননি চালক। গাড়ীটি যখন দাউদকান্দি সেতু পাড় হয়ে সামনে দিকে এগুছিলেন এমন সময় একটি দ্রæত গতির প্রাইভেটকার ওভারটেকিং করতে গিয়ে শ্যামলী পরিবহনের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এদিকে গতকাল শনিবার সকালে একই মহাসড়কের একই উপজেলার রায়পুর এলাকায় রংপুর থেকে চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের অপর একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় বাসের অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধূসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে ফরিদপুর সদরের মুন্সিবাজার বাইপাস সড়ক ও বিকেল পৌনে তিনটার দিকে ভাঙ্গার হামেরদী এলাকার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো ছয়জন আহত হন। পুলিশ জানায়, ফরিদপুর সদরের নূরু মিয়া বাইপাস সড়কের মুন্সীবাজার এলাকায় একটি মাইক্রোবাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন পথচারী খাদিজা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধু। খাদিজা বেগম ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামের আসাদ মিয়ার স্ত্রী। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: সাইফুজ্জামান বলেন, ঢাকা থেকে বাখুন্ডাগামী মাইক্রেবাসটি পথচারি ওই গৃহবধুকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশের একটি বিদ্যুতের খুটিতে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এ ঘটনায় খাদিজা বেগম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের ভাঙ্গার হামেরদী ইউনিয়নের হামেরদী গ্রামে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহফুজার রহমান জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী কমফোর্ট লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গাগামী একটি তিন চাকার যান মাহেন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মাহেন্দ্রের যাত্রী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী গ্রামের সোহরাব মাতুব্বরের ছেলে শামীম শেখ (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এদুর্ঘটনায় মাহেন্দ্রের আরও ছয় যাত্রী আহত হন। তাদের দুইজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হোসেনপুর(কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে সড়ক দুঘর্টনায় আবদুল গণি(৬৫) নামে দরিয়াবাজ মসজিদের মোয়াজ্জিন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার জোহরের নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে রাস্তা পাড় হয়ে বাড়ি ফেরার পথে ওই মসজিদ সংলগ্ন হোসেনপুর থেকে কিশোরগঞ্জগামী একটি মটর সাইকেল গণি মিয়া চাপা দিলে তিনি মারাত্বক আহত হন। এলাকাবাসী আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয়। এসময় এলাকাবাসী মটর সাইকেল চালকসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তারা সকলেই কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার হারুয়ার বাসিন্দা।
কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের রামুতে যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের বাসের ধাক্কায় হাকিম মিয়া (৬২) নামের এক সিএনজিযাত্রী নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাত ৮টায় কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামুর চা বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আহত হয়েছেন সিএনজিতে থাকা আরও চার যাত্রী। তারা সকলে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত বৃদ্ধ রামুর কাওয়ার খোপ ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ার মৃত ফকির আহম্মদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কক্সবাজার থেকে সিএনজিযোগে বাড়ি ফিরছিলেন ওই পাঁচজন যাত্রী। রাবার বাগান এলাকায় সিএনজিটি পৌঁছালে কক্সবাজারগামী বেপরোয়া গতির হানিফ পরিবহনের একটি বাস সিএনজিটিকে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হন সিএনজিতে থাকা পাঁচজন। পরে রাত সাড়ে ১১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাকিম মিয়া মারা যান। কক্সবাজার সদর থানার এস আই রাশেদুল করিম বলেন, নিহতের লাশ স্বজনদের হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের আলমখালী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সবুজ শেখ (২০) নাম এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে আলমখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ হাজরাপুল ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের পিসেকেন শেখের ছেলে। মাগুরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ সড়কের আলমখালী এলাকায় ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস সবুজকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্তলে তার মৃত্যু হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। গতকাল শনিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নগরবাড়ি-বগুড়া মহাসড়কে রায়গঞ্জ উপজেলার ভুয়াগাঁতী কামার পাড়া ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে গতকাল শনিবার সকালে পিকনিকের মিনিবাস উল্টে কমপক্ষে অর্ধশত নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছে। তাদের পীরগঞ্জ এবং দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সুত্র জানায়, পীরগঞ্জ উপজেলার শাটিয়া ঈদগাঁ ময়দান থেকে স্বপ্নপুরিতে পিকনিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ৫০/৬০ জন নারী পুরুষ ও শিশু নিয়ে সুরুচি এন্টার প্রাইজ নামে একটি মিনিবাস যাত্রা করে। যাত্রা স্থল থেকে কিছু দুরে যাওয়ার পর সিঙ্গারোল এলাকায় বাসটি রাস্তার ধারে উল্টে ধান ক্ষেতে পড়ে যায়। এতে ঐ মিনিবাসে থাকা প্রায় অর্ধশত নারী, পুরুষ ও শিশু আহত হয়। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ