Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করলে ভয়াবহ পরিণতি হবে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ১:০১ এএম

চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার আগেই আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। তারপরই নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হবে। এর আগে কোনো কিছু করা হলে এর জন্য যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন যদি নির্বাচনে না হয়, তাহলে সেটা কোনো নির্বাচন নয়। সেই নির্বাচন হতে হলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। অন্যান্য ন্যায্য দাবি মানতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে ফয়সালা করতে হবে। তারপরেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। তারপরেই নির্বাচন। সংলাপ না হওয়ায় কোনো ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি এই নেতা।
নজরুল ইসলাম সরকারকে লক্ষ্য করে বলেন, আপনাদের সম্মানজনকভাবে বের হওয়ার একটাই পথ অবশিষ্ট আছে। আর সেটা হলো নিরপেক্ষ নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং রাজবন্দীদের মুক্তি। অন্যথায় পরিণতি হবে ভয়াবহ। তিনি বলেন, অনেকে বলেন আমরা নির্বাচনে যেতে চাচ্ছি না। যদি নির্বাচনে না যাই তবে খালেদা জিয়ার এতো মুক্তি চাইতে যাবো কেন? তাকে সামনে রেখেই আমরা নির্বাচনে যাবো। তাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা নির্বাচনে যাবো বলেই নিরপেক্ষ সরকার চাই। নির্বাচনে যাবো বলেই সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। নজরুল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সারা দেশে ওরা (আওয়ামী লীগ) পাবে আমাদের চার ভাগের এক ভাগ ভোট। সেই ভয়েই তারা নির্বাচন এমনভাবে করতে চায়, যেভাবে তাদের জেতা নিশ্চিত করে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগের জবাবও দিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এক বক্তব্যে স্বাধীনতার কথা বলেছেন যে ফিরিয়ে আনতে হবে। এই কথার অর্থ এই না যে, আবার একাত্তর সালের মতো লড়াই করে ওই রকম স্বাধীনতা আমাদের আনতে হবে। বুঝতে হবে আপনাকে রাজনীতির ভাষা। এই স্বাধীনতার মানে হলো আপনার রাজনীতি করার স্বাধীনতা; গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বাধীনতা; সুন্দর, সুস্থ ও নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। মহানগর উত্তরের সভাপতি জুলফিকার মতিনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ